হঠাৎ সেদিন পুবে-
ঝলমলিয়ে উঠতে থাকা সূর্য গেলো ডুবে।
আর হলো না ভোর এখানে, দোর খোলে নি তাই,
চাঁদ তারাও নেই আকাশে, নেই মিঠে রোশনাই।
বের হলো না কোনো মানুষ, বের হলো না পাখি
যায় না শোনা কারো কোনো শব্দ, ডাকাডাকি।

দোর খুলে বের হওয়ার সময়- ফুরফুরে এই ভোরে
অন্ধকারের মন্দ হাওয়া বইছে জোরেসোরে।

একটু পরে কী দেখা যায়!- বিষাক্ত গ্যাস উড়ে-
আকাশ থেকে আকাশে যায় হাওয়ায় ঘুরে ঘুরে।
যেইদিকে যায় হাওয়ায় গাড়ি- সেই দিকে ঠিক ঠিক
ফুল ঝরে যায়, গাছ মরে যায়; আঁধার চতুর্দিক।
মরছে পাখি বাসার ভেতর নদীতে মাছ মরে
মানুষ মরে করুণভাবে আটকে থেকে ঘরে।

যতই কাছে আসতে থাকে মৃত্যুপরিণয়
বুকের ভেতর জমতে থাকে থমথমে নীল ভয়।
হঠাৎ দেখি সামনে কালো ধোঁয়ার সমাগম
ভড়কে গিয়ে শ্বাস টানতেই আটকে গেল দম।
হায় কী সর্বনাশ!
হায় কী সর্বনাশ!
ঘুম ভাঙে যেই তখন ফেলি মুক্তিতে নিঃশ্বাস।