তুমি আছো আবার নেই ও!
কায়াহীন ছায়া হয়ে জড়িয়ে আছো
নিষিদ্ধ বৃক্ষের নিষিদ্ধ ফলের মতোন…।
কল্পনায় আঁকিনি এমন আঁচড় কখনো..
আয়ুরেখা সময় পরিক্রমায়
মুখোমুখি করিয়ে দেয় অমোচনীয় উৎকণ্ঠার,
হৃদয় পোড়া ঘ্রাণে পলেস্তারা খসে পড়ে
সমস্ত অনুভূতিতে তীব্র আর্তনাদ করে…
তবু তুমি থেকে যাও!
ভোলা যায়না তোমার জন্মান্তর যেমন
মুছে ফেলতে পারিনি আজো ঐ অস্তিত্ব তেমন!
স্মৃতিতে মায়া নেই কোথাও তোমার সাথে,
নীতির গর্বে গর্বিত এক আত্ম অহংকারী মেঘ যেন
ভূলুণ্ঠিত তোমাকে নিয়ে তবু এক বুক কষ্ট
কেঁদে ফেরে আলোড়িত আলোড়নে নিঃশব্দে,
ভুলে থাকতে পারিনা কেন যেন!
তবু তুমি রয়ে যাও!
থেকো তুমি,যেওনা কোথাও,
থাকতেই হবে তোমাকে যে,
আমার স্বাধীনতা,আমার শাণিত মুক্তি দেখে যেও,
সেইদিন তুমি শাপমুক্ত হবে,জেনো।
বিধাতা সাক্ষী আছেন –
ক্ষমার দাঁড়িপাল্লা তাঁর হাতেই….।
কি নিদারুণ অপেক্ষা হৃদয়ের অগ্নুৎপাতে
অনাবিল প্রার্থনায় গুনি তাই অভিশপ্ত প্রহর–
আমার প্রায়শ্চিত্তের আগুনে হোক
তবু তোমার শাপমোচন !
আমাকে ছাড়া তোমার সে উৎসব অসম্পূর্ণ বলেই
তোমার জন্মান্তরে আমি নেই হয়ে আছি,থাকবো।