১. প্রশ্ন

সমস্ত ব্যস্ততা, সমস্ত লুকোচুরি ছাপিয়ে
মনকে প্রশ্ন করো কখনো একাকি মুহূর্তে –
মায়াবী মায়া কি কোনো বিভ্রম ছায়া
নাকি ভালোবাসা যায় এমন কোনো কায়া?

সব মিথ্যেই সত্য নয় যেমন,
সব সত্যিই মিথ্যে নয় তেমন —
ভালোবাসতেই হয় ভালোবাসায়,
সব উপেক্ষা করে সহস্র অপেক্ষায়।

এখনো পাখির মিষ্টি কাকলিতে নতুন ভোর হাসে,
এখনো চোখের পাতা নত হয় ভালোবাসার আঁশে …।

২. নোঙর

সে হৃদয়ে দাগ কাটার মতন ভালোবাসার ধার ছিলো না বলে
তার মনের আঙিনায় কোনো ছাপ পড়েনি হয়তো,
মনের পলিতে রাখতে পারেনি এই প্রেম তার প্রতিচ্ছায়া,
তাইতো ভীষণ সহজ তোমার কাছে নোঙর উপড়ে ফেলা …!

গভীরে প্রোথিত সে নোঙর তোলার কথা ছিলো না তো
প্রতিশ্রুতির বন্ধনে আবদ্ধ করেই প্রতিশ্রুত ছিলে তুমিও!
অবিশ্বাস্য দৃষ্টিতে চেয়ে থাকি ঐ চোখের তারায় –
নিজেকে খুঁজে বেড়াই তার স্মৃতির শিরা উপশিরায়,
ক্ষত বিক্ষত অপটু হৃদয়ের নীরব জিজ্ঞাসা জর্জরিত—
লঘু দোষে গুরু দণ্ডের মতন উচ্চারিত প্রতিটি শব্দ
ভীষণ কাঁদিয়ে যায় রক্তাক্ত করে সেদিনের মত!

জেনেশুনে ক্ষতি করা হয়নি কারো কোনোদিন,
দিয়েছি সব তোমাকে কোনো কার্পণ্য না করেই
বিশ্বাসের অনির্বাণ প্রদীপ জ্বালিয়ে তাই নির্মল প্রতীক্ষা —
সীমানা পেরুনো দ্বিধাহীন সব কি তবে মিথ্যে ছিলো?

মায়াবী রাত শেষে প্রেম হারিয়ে যায় না কখনোই
সে প্রেমের শেকড় ছড়িয়ে যায় হৃদয়ের সবখানে,
ধারালো শব্দবাণে তাই হৃদয় উপড়ে আসে ছিঁড়ে,
ভুলবার উপায় আমার জানা নেই এ জীবনে …
ভালোবাসা এতো ঠুনকো নয়, জেনে রেখো,
অগ্নিপরীক্ষায় হৃদয়ের চেয়ে পবিত্র মন্দির আর নেই।

তবু নিজেকে হারিয়ে যেতে দিওনা কখনোই,
আমার নারীত্বের অহংকারে
তুমি তোমার মতই থেকো।