বাংলাদেশে সবচেয়ে ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) ভরির দাম হাজার টাকা বেড়ে ৬০ হাজার টাকা ছাড়িয়েছে। অন্য মানের সোনাও ভরিতে ১১৬৬ টাকা করে বাড়ানো হয়েছে।
ইরাকে ইরানের সামরিক কমান্ডারকে যুক্তরাষ্ট্র হত্যা করার পর মধ্যপ্রাচ্যে যুদ্ধের দামামা বেজে ওঠার মধ্যে বাড়ল সোনার দাম।
বাংলাদেশ জুয়েলার্স সমিতির (বাজুস) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানিয়েছে, আগামীকাল রবিবার (৫ জানুয়ারি) থেকে নতুন দর কার্যকর হবে। বিডিনিউজ
প্রতি ভরি ২২ ক্যারেট সোনা ৬০ হাজার ৩৬১ টাকায় বিক্রি হবে। এছাড়া ২১ ক্যারেট ৫৮ হাজার ২৮ টাকা , ১৮ ক্যারেটের সোনা ৫৩ হাজার ১৩ টাকা এবং সনাতন পদ্ধতির প্রতি ভরি সোনা বিক্রি হবে ৪০ হাজার ২৪১ টাকায়।
বাজুস বলছে, বৈশ্বিক অস্থিরতার কারণে আন্তর্জাতিক বাজার ও স্থানীয় বুলিয়ন মার্কেটে স্বর্ণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় এ দর বাড়ানো হয়েছে।’
বাজুস-এর সাধারণ সম্পাদক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সাম্প্রতিক উত্তেজনার কারণে বিশ্ব বাজারে সোনার দাম অস্থির হয়ে উঠেছে। একদিনেই প্রতি আউন্স (২.৬৮৪ ভরি) ৫২ ডলার বেড়েছে। সেই কারণে আমাদের সোনার দাম বাড়ানো ছাড়া উপায় ছিল না।’
২০১৩ সালের পর এই প্রথম বাংলাদেশের বাজারে সোনার দাম ৬০ হাজার টাকা ছাড়াল। এর আগে ২০০৩ সালে ইরাকে মার্কিন হামলার পর সোনার দাম প্রতি ভরি ৭০ হাজার ছাড়িয়েছিল।
এর আগে গত ১৮ ডিসেম্বর ডলারের দাম বাড়ার কারণে মূল্যবান এই ধাতুটির দাম বাড়ানোর কথা জানিয়েছিল বাজুস। তখন এক মাসের কম সময়ের ব্যবধানে ভালো মানের সোনার দাম ভরিতে ১ হাজার ১৬৬ টাকা করে বাড়িয়েছিল ব্যবসায়ীরা।
তখন প্রতি ভরি (১১ দশমিক ৬৬৪ আউন্স) সবচেয়ে ভালো মানের সোনার (২২ ক্যারেট) দর ৫৯ হাজার ১৯৫ টাকা, ২১ ক্যারেটের দর ৫৬ হাজার ৮৬২ টাকা এবং ১৮ ক্যারেটের দর ৫১ হাজার ৮৪৬ টাকা নির্ধারণ হয়েছিল।
জুয়েলারি ব্যবসায়ীরা জানান, প্রতি ভরি ২২ ক্যারেটে ৯১ দশমিক ৬ শতাংশ, ২১ ক্যারেটে ৮৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ১৮ ক্যারেটে ৭৫ শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা থাকে।
সনাতন পদ্ধতির সোনা পুরনো অলঙ্কার গলিয়ে তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে কত শতাংশ বিশুদ্ধ সোনা মিলবে তার কোনো মানদণ্ড নেই।
অলংকার তৈরিতে সোনার দরের সঙ্গে মজুরি ও মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) যোগ করে দাম ঠিক করা হয়।
এবার সোনার দাম বাড়ালেও রুপার দর অপরিবর্তিত রেয়েছে। আগের ৯৩৩ টাকা ভরিতেই বিক্রি হবে এটি।