আজ লিখতে বসে বার বার হোঁচট খাচ্ছি
কলম যেন চলছেই না,
নিস্তব্ধতায় মোড়া চারিদিক
ভাবনাগুলো এলোমেলো হয়ে
শূন্য আকাশে মেঘের ভিড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছে
স্মৃতিগুলো ঝাপসা হয়ে আসছে
চোখের নোনা জলের ধারায়।
তোমাকে ছুঁতে গিয়ে দেখি শূন্যে হারাচ্ছ
হাত বাড়িয়ে ছুঁতে পারি না
তাই মন বাড়িয়ে ছুঁই,
কত সময় যেন তোমার কন্ঠ শুনি না
কী নিদারুণ কষ্টে বুক ফেটে চৌচির।
সুসময় কেন সহসা বাতায়ন বন্ধ করে দেয়
দুঃসময় সুখের সুশীতল হাওয়া কেড়ে নেয়,
তোমার আসার পথ চেয়ে থাকা এই আমি এবং
আমার অশান্ত মনের গহীনে কেবলি তোমার নিঃসংকোচ পথচলার শব্দ…
কান পেতে শুনি সেই পদধ্বনি।
নিঃশব্দ অনুভূতির প্রকাশ করি দীর্ঘ নিঃশ্বাসে
ছুঁতে গেলেই শূন্যে মিলিয়ে যাও অভিমানে,
কত কথার জালে জড়িয়ে রেখেছিলে দিনমান
কত স্বপ্নের কথা বলেছ অকপটে বারংবার।
মন পোড়ে যখন চোখ রাখি স্মৃতির ক্যানভাসে
বিবর্ণতা ছেয়ে যায় হাজার রঙের ঝলকানিতে।
আমার শহরে তোমার অনুপস্থিতি বেশ টের পাচ্ছি
অব্যক্ত মনের কথাগুলো আজ উদাসীন,
যত বার আমি হাত বাড়িয়ে দিতে চাই
ততই তুমি ক্রমশঃ সূদুরের নীহারিকা হও।
যদি কখনো মন কাঁদে তবে অভিমান ভেঙে
এসো আমার মনের আঙিনায়…
হাসনাহেনার মনমাতানো গন্ধে তোমায় খুঁজে নেবো
জড়াবো চাঁদের আলোয় অন্ধকার মাড়িয়ে,
জোনাকির আলো হয়ে এসো তুমি
হাতের তালুতে রেখে মিটিমিটি
আলোয় ভাসাবো নিজেকে….।