(আনুশকা নামে যে কুঁড়ি টি ঝরে গেল তাকে নিবেদিত )
কী নিরন্তর যুদ্ধ ভেতরে ভেতরে
অস্থি, মজ্জা, মাংস, মস্তিষ্কের মত
মাইটেসিস এর সব ধাপগুলো পরিপুর্ণ হতে
সবগুলো দল এর পর্বে পর্বে গড়ে তুলতে সুদৃশ্য পাপড়ি
প্লাসেন্টার মত ঝুলে থাকা পুষ্পাধার,
নিরাপত্তায় আগলে রাখা বৃতি মন্ডল
জাইলেম, সীভনল বেয়ে শুষে নেয়া পুষ্টিকণা
ঠিক যেন ভ্রুণের শিরা উপশিরা জুড়ে যায় গর্ভফুলের মাতৃ জংশনে।
তারপরে উম্মেষ লৈঙ্গিক অবয়ব
মসৃণ পেলব কিংবা কর্কশ ত্বক
তারও পরে রঙিন আস্তরনে সুশোভিত রূপে
উম্মিলণের পালায় প্রস্তুত কুঁড়ি,
কিন্তু জানেনা সে, কতগুলো লোলুপ হাত আগবাড়িয়ে রয়েছে নিস্পলক তখনো
ছুড়ে দিতে কলুষ প্রলেপ।
হায় কুঁড়ি, তুমি জান না কত স্বার্থপর এই পৃথিবীর প্রাণীকুল
তোমার নিয়তিই যেন নিষ্পেষনে, এক ঝাঁক প্রতিযোগী হাত অথবা দৃষ্টির কাছে
তোমার পাপড়ি উন্মোচনের পরপরই, তোমায় করে নিতে আহরণ।
প্রকৃতি অমোঘ, তবুও দল মেলে সাজাও ধরনীতল।