এসেছিলাম স্বপ্নের দ্বীপ হতে নীলজলে
লিখে যেতে প্রণয়ের শ্লোক
ভেবেছি কিছু না কিছু তো পূর্ণ হোক।
মুছে দাও যদি সত্যের বাণী,
সভ্যতার গায়ে যদি
লিখে দাও
অশ্লীলতার শ্লোগান
কেউ কেউ
ভেসে যাবে
তার প্লাবনে।
আমার কী এসে যাবে তাতে
যদি আমি বধির হই!
অন্ধের মত পথ কেটে চলি
সাদাছড়ি হাতে।
বুঝি, কেউ কেউ চলে যায় পাশ কাটিয়ে,
কেউ কেউ থামে ক্ষণিকের চলা থেমে।
কেউ কেউ নজরবন্দি করে।
নজরহীন চোখে আমিও
দেখে নিই নজরহীনতা।
কী এসে যাবে দৃষ্টিও না ফেরালে!
আমি তো দূর দ্বীপবাসিনী–
বাস এক অন্য জগতে।
নষ্ট জগতের অন্ধকার ছোঁয় না যাকে
সে আলোর মশাল জ্বেলে দিতে চায়,
চায় ইমারতের ফাটলে তৃণমূল জন্মাতে।
আগাছার সাথে উপড়ে ফেলা বীজও
হতে পারে মহীরূহ সে যদি জানতে
তবে লিখে দিতে একটি সত্যের শ্লোগান
সভ্যতার ললাটে তুমিও।
আমি চলে যাব কারো কারো
ক্রোধের আগুনে জ্বলা
মৃত্যুকে কাছে থেকে দেখে
কোন এক মৃত্যুঞ্জয়ী ভোরে,
রেখে যাব দীর্ঘশ্বাস তোমাদের
ঘাসহীন মৃত্তিকার পরে;
আমাকে পাবে না কারো মামুলী কথার ফাঁকে।
ইচ্ছার স্বপ্ন এঁকে খুঁজে নেবে
যে চিত্রকর বনানীর সবুজ ,
সেখানেই মিশে রবো মৃত্তিকার তলে।
আমার কী এসে যাবে তোমাদের অশ্লীল
কথার বীজে জন্মানো পত্র-পুস্পহীন
বিষবৃক্ষের বিরাণ প্রান্তর দেখে!
তুমিই তো ছায়াহীন যাবে ক্ষয়ে
নির্জন সেই প্রান্তরে গ্লানির দহন নিয়ে
জানবে, কেন কেউ কেউ সুখেও বাঁচে
বুকে আগুন নিয়ে।