একটি কবিতা স্বপ্ন দেখে সমস্ত রাত ধরে।
খোলা জানালার ফাঁকে বাসন্তী হাওয়ায়
মন থেকে মুছে নেয় দিবসের অবসন্নতার
ক্লান্তির করুণ চিহ্ন, জোৎস্না মাখা আদরে
অস্পর্শ চুমোয় কবিতার ললাট দেয় ভরে,
দিনের রুক্ষতা শেষে হৃদয়ের আর্দ্র আকাঙ্ক্ষার নীল ঘুমে থই-থই করে দু’চোখের কিনার,
যেন সে নিজেই ধ্যান-শুভ্র তুলির আঁচড়ে।
একটি কবিতা স্বপ্ন দেখে সমস্ত রাত ধরে।
হয়তো সে ছন্দ আজো বাচুর হয়ে শুয়ে আছে, নীলিমার নক্সীকাঁথা গায়ে দিয়ে দিগন্তের কাছে।
হয়তো সে শরৎ শিশির-শিশুরে বুকে করে,
নরম ঘাসের কোলে গা এলিয়ে ঘুমাচ্ছে অঘোরে!
সে কবিতার ছন্দ এসে কোমল কুন্তলে নাচে!
আমি চেতনা মগ্ন সেই ছন্দে হারাই যদি পাছে,
সে ভয়ে আমার চোখ জাগে তার চোখের শিয়রে।
একটি কবিতা স্বপ্ন দেখে সমস্ত রাত ধরে,
ছবির মতন তার মুখে সেই ছন্দের আলোকে নীলিমায় তারা দিয়ে নকশি বোনা,
নীল চাদরে মোড়ানো সে চাঁদকে লয়ে আপন বক্ষে।
জানে না কেউ, কেন যে দিন চলে যায়,
কালের পাখি কেন যে, ঝরা পালক তার ঝরিয়ে যায় নীল চিন্ময়তার সিন্ধু-মোহনায়!
সদ্য বিধবার মতো ভোরের স্বপ্ন ভাঙা ব্যর্থতার সব দুঃখ-শোক
বুকে জড়িয়ে পড়ে থাকে তীর বিদ্ধ আহত পাখির মতো কবিতার স্বপ্ন’রা।