বকুল ছায়ে আসে গোপন পায়ে পায়ে মধুপ নেশাতুর
চোখের কোলে ভর করেছে শরমের খানিক ঘনমায়া
অরূপ উল্লাসে প্রাণের এক কোণে স্বপ্ন বাঁধে দানা;
সাঁঝের নিভু নিভু ধূসর মুখ থেকে মেঘেরা উড়ে যায়
ভেজাবে চন্দ্রিমা; রাতের পথহারা আঁধার ফিরে যাবে।
সহসা থেমে যাবে ফাগুন সকালের বৃষ্টি ঝরা খেলা
হালকা হাওয়াতে কাঁপবে পল্লব, ভাঙবে নীরবতা
বুঝি-বা ছুঁয়ে যাবে; নীরবে কেঁদে যাবে গভীর কালোচোখ।
ঠোঁটে কি রেখে দেয়া মোহন বিষে-বিষে পূর্ণ হবে প্রাণ?
হৃদয়-গোমতিতে তীব্র গোঙানির শব্দ কূল খোঁজে
ফিরতি ঢেউগুলো বৈঠা ছুঁয়ে দিয়ে আবারো ভেঙে পড়ে।
ডাকে নি কেউ তবু! বিষাদে রাত জাগি,
আশায় জাগরণ!
বুঝিবা আসে সেই কমল কুড়িদের পাপড়ি-মেলাদিন–
দীপ্ত শুভক্ষণ, আমি যে ঘ্রাণ পাই বনের হরিণের,
চপল নিশুতির দহন খুলে দেবে গোপন গ্রন্থিকে!