স্বপ্নলোকের প্রণয়ের বাহুডোরে বাঁধা ছিলে,
স্বপ্নময় কল্পনায় রঙ ছড়িয়ে!
সেটাই তো ঢের ভালো ছিল।
কেন এলে ক্ষণিকের জন্য
সুপ্ত পথে দীপ্তির ও রূপে
রাঙাতে আমার ধূসর আকাশটা কে!
ঠিক যেন কৃষ্ণচূড়ার রক্তিম আভায়,
প্রণয়ের পুলক ছড়িয়ে _
রাঙিয়ে রাখতে অহর্নিশি আমাকে!
আমার পৃথিবীর দ্যুলোক ভূলোক কাঁপিয়ে!
নিমেষেই অগ্নিতাপে মোমের মতো,
তোমার ‘তুমি’ গলতে শুরু হয়ে যেত!
ঠিক সাহারার মরুর বুকে তৃষ্ণার্ত
পদ ভোলা পথিকের মতো!
তৃষ্ণার্ত পথিক যেমন
এক ফোঁটা বৃষ্টির জল পান করে
তপ্ত মরুর বুকে
নিজেকে শীতল করে নেয়ার মতো!
হে ক্ষণিকের অতিথি!
আমরা স্বপ্ন বুনেছিলাম,
রাঁধবো আমি তোমার জন্য
তোমার পছন্দের সব ম্যানু সাজিয়ে
আহার করবে যখন তুমি সে সব খাবার
থাকবো আমি চুপটি করে পাশে বসে
দেখবো শুধু মুগ্ধ চিত্তে এই তোমাকে
কতো ভেবেছি, কতো স্বপ্ন এঁকেছি
এমন সব প্রহর রাঙানো স্বপ্ন,
তোমাকে নিয়ে!
সব রাঙা প্রহরই রয়ে গেল,
অধরা মাধুরী হয়ে তোমার জন্য!
এসেছিলে তুমি যে ভূবনডাঙার
ক্ষণিকের অতিথি হয়ে!
আমার স্বপ্নের জগতে!
তাই তো স্বপ্ন সব স্বপ্নই রয়ে গেল,
অধরা মাধুরী হয়ে।
ক্ষণিকের অতিথির জন্য।
স্বপ্ন বুনে যাওয়া
স্বপনেতেই ঢের ভালো
বাস্তবে সে আনে শুধু
বিষাদের ধুম্র কালো!