হাতের মুঠোয় সেজেছে চতুরঙ্গের নেশা!
এখানে গুটিগুলো সাদা-কালোর সাথে লাল-নীল;
খুব সন্তর্পণে সাজানো হয় সৈন্য, হাতি, ও ঘোড়া নামে-
ঠিক যেন কিছু মানব-মানবীর আদলে গড়া!
গুটির রং-ঢং অনুযায়ী সাজানো হয় শতরঞ্জ-
দ্বিতীয় সারিতে আছে সাধারণ সৈন্য বহর,
এগিয়ে নিবে, গুছিয়ে দিবে খেলার মাঠ।
যদি কোনও অন্য পক্ষ সৈন্য তোমার ডেরায়,
দাও “অ-পাঁসো” চাল, করো কুপোকাত।
তোমাদের সাজানো খেলায় অনায়াসে রাখতে পারো
দুই নৌকায় পারাপার; এখানে দুটি নৌকার স্বার্থান্ধতা
একসাথে চলে, একটি আরেকটির জন্য সুরক্ষা কবচ বোনে!
দুই নৌকার উপর সমান দৃষ্টি; জানো তুমি রাজা ও নৌকার
মাঝে আসার অধিকার রাখে না অন্য কোনও গুটি!
খুব আলতো চালে গড়ে নাও কিংসাইড ক্যাসল, কিংবা
কুইনসাইড ক্যাসল! চেক হওয়ার আগেই আলগোছে
নিজেকে তুমি করে নাও আড়াল! চেকমেট এড়াতে না
পারলে তোমার খেলা শেষ হবার ভয় যদি পাও, খেলা ড্র-তে
সম্মত হও, হে এ যুগের চতুরঙ্গ পারদর্শী প্রেমিক!
তুমিও জিতে গেলে সাথে প্রেয়সী; মাঝে হলো খেলা-
মন দেয়া-নেয়া আর টান টান উত্তেজনার বিছানো শতরঞ্জি!