কেন এত বিদ্ধেষ!
মানবতার কবে আসবে সাজে-
প্রকৃতির বিপরীত বিশ্ব কাননে স্বপ্ন গড়ি নিজে-
আমরা কি চাই আকাশ বাতাস চন্দ্র-সূর্যও সব বুঝে!

ধরণীর বুকে চাঁদ তারা সুর তাল তুলে মর্মরে
মানুষ হলো শ্রেষ্ঠ প্রাণি আর নাই তার উপরে-
তবে কেন মানুষে মানুষে করছি আমরা হানাহানি
আল্লাহ-ভগবান-ঈশ্বর-গড আমরা তো একই জানি।

স্বধীনতায় আমরা যুদ্ধে আমরা পরপোকারেও আমরা
দারিদ্রের কষাগাতে সীমাহীন কষ্টেও বাঁচি আমরা!
আমরা করি না ভয় সাগর নদীর পাড়ি দিতে কেউ
আমরা করি না পারোয়া জীবন নদীর উত্থাল ঢেউ!

আমরা মানি আইনের শাসন রাষ্ট্রে যাহা রচিত
আমাদের মাঝে যাহারা খারাপ সে মুখ হউক উম্মোচিত!
আমাদের শৈশব কৈশোরে নীতি কথা শুনেছি কত
এখনো শুনি ঘরে বাহিরে রাতদিন শত শত।

মা বাবার আদর শাসন বারণ যেখানে যেমন
নেই নীতি কথা এখন সব চালাকি চারদিক এ কেমন!
আমরা তো ভালোর ভালো মন্দের যম
পাগল পারা এই বাংলার অসম ধন-

আমরা তো চিত্রকলা আর ছড়া কবিতার চৌকশ সেনা
বারণ যত সবকিছু ছেড়ে রুখবো বিষধর সাপের ফনা!
আমরা তো রাখালিয়া বাঁশির সুর ভাটিয়ারী গান
বৈশাখী ঝাড় হেমন্তের কাশফুল আর ফসলের প্রাণ।

আমরা চেয়েছি পাইনি যাহা সাহসে সাধ্যে হন্যে হয়ে
মাঠ ঘাট পথ পান্তরের পড়ন্ত বিকেলে চাইব হৃদয়ে!
দোয়েল কোয়েল ময়না শালিক টিয়া ফিঙ্গে
আমরা ধরনীর তাদের মতো রাজ রাঙ্গা অঙ্গে!

আমরা আমাদের অধিকার চাই বাঁচার মতো বাঁচতে
চাইনা ধুকে ধুকে মরে জীবন নদীর তরী নিয়ে লড়তে!
আমরা মানুষ সহমত জাতে মিলে এই বিশ্ব করি শান্ত
আমরা ধর্ম বর্ণ জাত সমলোকে আশায় হব না ক্ষান্ত।

আমার কৃষকের মাঠ শেফালীর হাসি ভরা যৌবনে কর্ণফুলী
পদ্মা মেঘনা যমুনা কপোতাক্ষ নদ স্বপ্নের রঙিন ফুলকলি!
আমরা মসজিদ মন্দির গীর্জায় স্রষ্টার কাছে দু’হাত তুলি
অন্যায় অত্যাচার খুন ধর্ষন জুলুম নির্যাতন কি করে ভুলি,

এত সবের মাঝে তাই নিজেরোই হারিয়ে ফেলি খেই!
অহংকার; তবে তুমি হবে শেষ সেটা থাকতে নেই।
আমরা ধরনীর বুকে শ্রেষ্ঠ জীব তবে কেন এতো হতাশা!
ধরণীর মাঝে কোটি প্রাণ তাদের নেই তো বেশী প্রত্যাশা।

আমরা ব্যথায় কাতর দুঃখের সাথী আর আনন্দে দেই দেই
বিপদে হতাশ ছুটে চলা উন্মাদ শিশুর হাসি যেই।
আমরা কাহারে বলি এই বিশ্ব তো আমাদের-
শুধু চাই শান্তি; কড়োজড়ো মিনতি মানবতা থাকাদের।