‘আমারে নিবা মাঝি লগে ?’
‘আরে পুরুষ! ডরাও মাঝি?’
বাঁকা কঞ্চির মত অবাধ্য
কপিলার এমনই সব
দুর্বোধ্য আহ্বানে জেগে উঠে কুবের মাঝির ঘুমন্ত হৃদয়।
চেতনায়, কামনায়,
অদম্য বাসনায় কুবের কপিলাতে ভেসে যেতে চায়।
প্রমত্তা পদ্মার সাহসী মাঝি
যেভাবে ভেসে যায় পদ্মার জলে, কুবেরের উপবাসী মন প্রিয়তমা মালাকেও ভোলে
যুবতি শ্যালিকার প্রণয়ের ছলে
এযে পরকীয়া, এতো প্রেম নয়!
তবুও কুবের কপিলার ছলনার জালে সঁপেছে হৃদয়।
তৃষিত হৃদয় এরে ভালোবাসা কয়।
এ যদি না হয় প্রেম; তবে কালার প্রেমে রাধা কেন ডুবে মরে হায়।
ওরে নপুংসক, তুই কি বুঝিবি তায়।
যবে মথুরায় শ্যামের বাঁশি বাজে,
রাধিকা চুলায় জল ঢেলে এলোচুলে আলুথালু সাজে।
বিষমুখীকুটিলার সাথে শাশুড়ি ডাইন বসে ঘরের দাওয়ায়।
কালার বাঁশি মাতাল সুর তুলে দক্ষিণ হাওয়ায়।
আকুল দেহ ব্যাকুল প্রাণ
আকাশ জুড়ে জ্যোৎস্না স্নান
শয্যাপাশে বেঘোর আয়ান।
আষাঢ় মেঘের ঘনঘটায় আঁধার ঘনায়,
নীলবসনা রাধিকা অভিসারে ধায়।
রাতজাগা পাখি পথ দেখায়
সরিয়ে রাতের কালো।
মধুমোদি ফুল সুবাস ছড়ায়
জোনাকিরা দেয় আলো।
মেঘের আড়ালে চাঁদের মুখ শ্যামের বাহুডোরে রাধার সুখ।
ওরে নপুংসক, এমন প্রেমের মর্ম তুই কি বুঝিবি হায়।
এ কি পরকীয়া?
একি প্রেম নয়?