অলকার গায়ে রঙ, দুধে আর আলতা,
সকালের স্নানে তার, অগোছালো চুলটা,
সূর্য উঠেছে সেই, কবে কোন সকালে,
বাবা তবু ফিরলোনা, দিন যায় অকালে,

স্কুল ড্রেস সেলোয়ার, ছিঁড়েছে তা কবে,
বাবা বলে গিয়েছিলো, এই ঈদে হবে,
মায়ের ম্যাডাম নাকি, বলেছিলো মাকে
যাকাতের শাড়ি থেকে, দুটো দেবে তাকে,

কিন্তু মা, ফিরে এলো, এক শাড়ি হাতে,
অলকার ফুপিও তো থাকে এ বাড়িতে।
পাঁচখানা দেহ ঘরে, পাঁচখানা পেট,
হাঁড় জিরজিরে দেহ, অসুখ সমেত।

তবু তার মনে হলো, বাবা বুঝি এলো,
নিশ্চিত হাতে ঝোলা , চোখ ছলোছলো ,
বলবে গভীর স্বরে, অলকা ও মা ” রে,
তোর বাবা খালিহাতে ফিরতে কি পারে?

পুকুরের জলে জ্বলে সূর্যির ছটা,
বাবলুর হাতেও যে কি প্যাকেট ওটা?
চেঁচিয়ে জানতে চায়, ওটা কি রে বাবলু?
আপা, তোর নীল জামা, লাল লাল লিপ গ্লু,

আহা, রোদ ঝলোমলো, অলকাদের উঠোনে
দাদীজান পাঠিয়েছে, চিনি আনতে দোকানে
আম্মা ধরেছে জাপটে, বড়ো লাল রাতা টা,
নামাজ ফেরত বাবা, বসে পেতে পাটি টা,

ছোট্ট ছোট্ট খুশি, ছোট্ট আশার বাতি,
জ্বলে তো জ্বলুক না,
অলকা বাবলুদের, এই নোনা খুশিগুলো,
যাপিত জীবন জুড়ে থাক না।