গাছের মতো শেকড় প্রোথিত স্থির হতে নয়,
বহতা নদীর মতোই বয়ে চলাতেই যেন
আমার জন্মাবধি জীবনাবগাহন!
তবুও, মাঝে মধ্যেই যেয়ে বসি
বার্ধক্যে ভর করা, অথচ
ভার বইবার শক্তি
আছে তেমন
এক ডালে;
বলি-
তোমার থেমে থাকা অবয়ব আমার ক্ষণিকের
আশ্রয়; তোমার ছায়াতলে আমার জুড়ানো
প্রাণের সবটুকু আস্বাদন, ফের বয়ে
চলা জীবনের কতশত ফেরানো
মুখের অর্থহীন আকিঞ্চন!
তবুও, তোমার আবেগী
পরশের মায়ায়
অস্থির আমি
শান্ত সুবোধ!
বৃক্ষপ্রেম যেন দুবাহু বাড়ায়ে করেছে আপনজন
ডেকেছে সে দূর পরবাসে কোন এক মায়াবী
সময়ের গোধূলী লগনে; দিয়েছে ডাক
ছুটে যাই তাই পেতে তার উষ্ণ
আলিঙ্গন; অতঃপর ফিরে
যাই আবার, অন্য কোনও
সময়ের সাক্ষী, অন্য সে
ভূবন। থেকে যাও হেথা
হে বৃক্ষপ্রেম আরও
শতবছর!
কালপরিক্রমায় হয়তো আবার কোনও পথকাব্য হবে গাঁথা
তোমায় ঘিরেই; পথের মায়ায়, গাছের ছায়ায় স্নিগ্ধ স্পর্শ
খুঁজে ফেরে যে পথিক সে ই আবার আসবে ফিরে!
আমিও হেথায় রেখে যাই আমার সকল প্রেমের
উচাটন; মনে রেখো কি না রাখো- নেই
কোনও আস্ফালন! তবুও, ছুঁয়ে
যাই এই বলে- হে বৃক্ষপ্রেম
ভবঘুরে মনটা দিলাম
তোমাকেও অনেক
যত্নভরে!