১. শঙ্খ নদী

শঙ্খ নদী, শঙ্খ নদী
তোমার কাছে যাবো,
তোমার জলে শীতল শীতল
সুখ হাসিটা নেবো।

বাবা আমার সাম্পান মাঝি
মইজ্যার টেকে বাড়ি,
নতুন ব্রীজ পার হয়ে যাই
চড়ে চান্দের গাড়ি।

কর্ণফুলীর ছেলে আমি
কর্ণ জলে বাস,
সাম্পান চালাই হেসে হেসে
স্বপ্ন করি চাষ!

বাবা গেছে ঈষাণ হাটে
ঘাটে মানুষ নাই,
তাইতো আমি সাম্পান নিয়ে
তোমার কাছে যাই।

শঙ্খ নদী, শঙ্খ নদী
আমার আদর নিও,
তোমার বুকে ভালোবেসে
আমার বরণ দিও।

২. ফানুস

মন পাখিটা কাঁদছে দেখো
কাঁদে অবিরাম,
কেঁদে বলে এই সংসারে
নেই যে কোনো দাম।

চোখের জলে হয় না মুক্তো
নোনা নোনা স্বাদ,
বুকের ভেতর হয় যে বড়
কষ্টে সৃষ্ট খাদ!

মানব জীবন বৃথা গেলো
মানবের কারণ,
সুখ বেচেই দু:খ কিনি
কিনি যে মরণ!

কাসেম বলে বোকা পাখি
চিনলে না মানুষ,
পাথর দিয়ে পাথর ঘষে
বানায় সে ফানুস!

৩. তের বছর

পুকুর পাড়ের তাল গাছটা
আস্ত ভূতের বাড়ি,
আমি রাফি, রতন, রহিম
দেবো আজি পাড়ি।

ভূতের বাপের শ্রাদ্ধ করি
তেলে খাবো ভেজে,
পেত্নীরা সব কান্না করে
ভালো মানুষ সেজে।

আমি যখন ছোটো ছিলাম
পেতাম দারুণ ভয়,
এখন আমার তের বছর
ভয়কে করবো জয়!

ভূতগুলো সব বাম পকেটে
রাখবো দলামলা,
পেত্নী থাকবে ডান পকেটে
চুপচাপ ছলাকলা!

আম্মুটা বেশ ভীতু মেয়ে
দেখায় জুজুর ভয়,
বীরের ছেলে বীর যে আমি
চলবে না নয় – ছয়!

৪. লীলা

যা করেছো বেশ করেছো
কাটছে আমার বেলা,
আমি তোমার পুতুল মালিক
খেলছো মজার খেলা।

চোখের জলে নদী গড়ো
বুকের মাঝে ক্ষরণ,
তুমি মালিক কাছে রেখো
হলে আমার মরণ!

এই শহরের হাট বাজারে
ঘুরি তোমায় ভুলে,
সদাই করি অচিন সওদা
ভুল বাগানের ফুলে!

কষ্টে আমার নষ্ট জীবন
চোখে ব্যথার শীষ,
তুমি দেখো চেয়ে চেয়ে
কারা ঢালে বিষ!

নালিশ আমার নাইকো মালিক
তুমি সকল জানো,
যারা আমার সুখ লুটেছে
ক্ষমার ছায়ায় টানো।