তুমি হয়তো সমুদ্রের কাছাকাছি
কোন এক মোটেলে ।
রাগ ভৈরবীর সুর কানে বাজতেই
আড়মোড়া ভেঙে
লম্বা একটা হাই তুলে
হিমহিম মাঘের সকালে
দীর্ঘ ঘুমের ক্লান্তি ঝেড়ে ফেলেছ,
হয়তো লেপটা আরেকটু
কাছে টেনে নিয়েছ,
যেমন করে আমাকে
কাছে টেনে নিয়েছিলে
কোন এক কুয়াশাঢাকা পৌষের সন্ধ্যায় ।
তোমার পাশে কোন সঙ্গিনী আছে কীনা
ভাবতে চাই না,
ভেবে নিতে চাই তুমি একা,
আমিও যেমন একা!
তাড়াহুড়ো করে শেভ করতে গিয়ে
গালে খানিকটা রক্ত ঝরছে,
যেমন রক্ত ঝরছে
এক রমণীর হৃদয় প্রকোষ্ঠে
কত কতদিন ধরে!
টিবয় দুকাপ চা সাজিয়ে
ট্রে হাতে বেল টিপছে;
নাহ্ দুকাপ চায়ের কথা ভাববো না
এক কাপ চায়ের কথাই বলি ।
তুমি দুহাত বাড়িয়ে ট্রে টেনে নিয়ে
মুখে প্রশান্তির হাসি টেনে বলছো ,
“অনেক ধন্যবাদ।”
চায়ের গরম স্বাদ
চামড়ার ভাঁজ খুলে দিচ্ছে তোমার কপালের ,
পত্রিকার পাতা উল্টাতেই চোখে পড়ছে
আমার ছবি!
আমার কবিতার বই ঝড় তুলেছে
একুশে বইমেলায় ।
ভাবছ হয়ত একে তো চিনতাম !
এতো আমার সাথে পড়ত !
এ আবার কবিতা লিখে !
হয়তো বা ।
আজকাল সবাই কবিতা লিখে ।
তোমার মোবাইলে বাজবে
চৌরাসিয়ার বাঁশি,
দেখবে কোন অচেনা নম্বর;
“হ্যালো” বলতেই ওপাশ থেকে ভেসে আসবে
কোন এক অপরিচিতার আবেগভরা কন্ঠস্বর ,
“কেমন আছো তুমি?”