টুঙ্গিপাড়ার ঝিরিঝিরি হাওয়ায়
মধুমতী নদীর ঢেউয়ের দোলায়
সবুজ পাতাদের মিষ্টি বাঁশিতে
আজো ধ্বনিত হয় একটি নাম।
এক দুরন্ত কিশোরের হৈ হুল্লোড়,
ফুটবল খেলার মাঠে অসংখ্য কিশোরের কলগান,
এখনো বাতাসে ওড়ায় ভালবাসার খাম।
আনন্দ উচ্ছ্বাসে বড় হতে থাকে কিশোর খোকা,
কিশোর থেকে তরুণ খোকা।
তিনি বুঝতে পারেন কোথায় যেন এক অদৃশ্য শৃঙ্খল,
কোথাও কোন নিজস্বতা নেই।
চেতনার ভেতর রোপিত হয় স্বপ্নবীজ।
ধীরে ধীরে খোকা নেতা হয়ে যান।
তারপর প্রতিবাদ, বিক্ষোভ, ভাষা আন্দোলন, দফায় দফায় আন্দোলন ধীরে ধীরে অসহযোগ, বজ্রকন্ঠের ডাক,
সাত মার্চে উত্তাল রেসকোর্সে
স্বাধীনতার অমিয় বানী, সব মিলিয়ে খোকা হয়ে ওঠেন
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তাঁর ডাকে একাত্তরে ন’মাস মুক্তিযুদ্ধ হলো,
তিনি আবার কারাবন্দী হলেন।
সারাজীবনে প্রায় চৌদ্দ বছর
কারাবাস।
বিজয় এলো লক্ষ লক্ষ প্রাণ
ও অসংখ্য মা বোনের সম্ভ্রমহানির বিনিময়ে।
একদিকে হারানোর ব্যথা অন্যদিকে প্রাপ্তি।
আহা, মায়ের কী যে কষ্ট!
বঙ্গবন্ধু হয়ে গেলেন জাতির পিতা।
এখানেই বাংলাদেশের জন্ম জয়ের অধ্যায় শেষ হয়ে গেলে ভালো হতো।
এরপর যদি থাকতো শুধু ধ্বংসস্তুপ থেকে উঠে এগিয়ে যাওয়ার চমৎকার গল্পগুলো।
কিন্তু না, তা হলো না।
পনেরো আগস্ট ভয়াবহ এক
কালরাত্রিতে
প্রিয় বঙ্গবন্ধু স্বপরিবারে শহীদ হলেন।
আমরা হারালাম প্রাণের নেতা ।
কিন্তু আসলে কি তাই?
না, জাতির পিতা মৃত্যুঞ্জয়।
তিনি আছেন সর্বত্র।
আমরা তাঁর স্পর্শ পাই প্রতিক্ষণ।
প্রতিদিন নতুন সূর্যোদয়ে হয়
জাতির পিতার মুখদর্শন।