বিজ্ঞাপনটি শেষ পর্যন্ত ছাপা হয়েছিল-
“একজন প্রেমিক চাই”- একটা আধ ফোঁটা লাল গোলাপ,
আর ঝুম বৃষ্টিতে রিক্সার হুড তোলা অবগাহনে যেতে;
লং ড্রাইভে উদ্দেশ্যহীন কোনও পথকাব্য রচনা করতে;
কিংবা নার্গিস- রাজকাপুর জুটির “পেয়ার হুয়া ইকরার হুয়া” গানের সেই দৃশ্যের মতো একই ছাতায় সন্ধ্যাবৃষ্টি গায়ে মাখতে!

অতঃপর…

আজ হাতির ঝিলের পাড় ঘেঁষে অফিস যেতে যেতে পেয়ে গেলাম তিনজন প্রেমিক- বিজ্ঞাপনের সাড়া বেশ ভাল!

ওয়াটার টেক্সি থেকে নেমে প্রেমাস্পদ হাত বাড়িয়ে দিয়ে প্রেমিকার মুখের প্রভাত রাঙ্গা হাসি আর আস্থার আভরণ গায়ে মেখে নিতে নিতেই জগতটাও কেমন ঝলমল করে উঠলো!
দুজনের হাত দুটো তখন পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ ‘বন্ধন’ নামে চিত্রপট!

কিছুদূর যেতেই এক মধ্য বয়সী খুব বিরক্তি নিয়ে তাকিয়ে থাকে মেহেদী মাখা সৌখিন শিল্পে প্রেমিকের অব্যক্ত আরাধনায়!
প্রেমিকের চোখে তখন হয়তো ভাসে এমনি শৈল্পিক কোনও
ভবিতব্য রচনায়- কি এসে যায় পথচারীদের অহেতুক বক্র চাহনীতে? প্রিয়ার সাজই আজ সত্য ও সুন্দর!

এসকেলেটরে আনাগোনা আর সব যুবক-যুবতীর মাঝে
প্রেমিকের বুকের কাছে মাথা রেখে ভয়কে আড়াল করে মেয়েটি;
আলতো হাতে আগলে রাখার কঠিন প্রত্যয় আঁকে প্রেমিক পুরুষ। “আদিখ্যেতা ” বলে ওঠা পাশকথাটিও জানে, সব পথ শেষে প্রেমিকের মায়ামাখা আশ্বাসটাই যেন বেঁচে থাকে!

বিজ্ঞাপনের ভাষা যাই হোক- মিলেছে প্রেম এখনও এই জগতে,
আজ, আরও একবার জানতে চেয়েছি প্রেমিক যুগলের কাছে-
সত্যিই কি এমন প্রেমিক পুরুষ আছে,
এক সমুদ্র ভালবাসা নিয়ে-
আজীবন প্রেমিকা একচ্ছত্র অধিকার রাখে তার হৃদয়ের?