কতটা অভিমান হলে, নীলাভ হয় একটা শরীর!
কতটা অভিমান হলে, কাঁদাতে হয় পৃথিবীর সব মায়া!
কতটা অভিমান হলে, না বলেই চলে যেতে হয় না ফেরার দেশে!
কতটা অভিমান হয়েছিলো ছোট্ট বোন আমার!
লক্ষ-নিযুত স্মৃতির ভিড়ে সবাই আজ দিশেহারা!
ছোট্ট এক তুলতুলে রূপবতী রূপন্তী বলে ডাকি।
গুটিগুটি পায়ে সেবারও তুই হারিয়েছিলি; খুঁজে পেলাম।
এবারেও খুঁজছি আপু; সারাদিন…সারারাতি…
সেবার, সেন্টমার্টিন দ্বীপে কুকুরছানা ব্যথা পেয়েছে বলে
কি বকাই না দিলি সাইকেলের সেই ছেলেটিকে।
রাখতে পারিনি আব্দার তোর- থাকা হলোনা আর একসাথে।
মেহেদী পরিয়ে আমার হাতে হতো কথা কতো শত দুই বোনেতে।
বাবার আদর, মায়ের আহ্লাদ, বোনের চোখের মণি;
একটু কি তোর পড়লো না মনে মোদের মুখখানি?
সবাই ছিলাম তোরই পাশে, তবুও দিলি তুই ফাঁকি।
এখন কেবল স্মৃতির আঁকর- তাই নিয়ে সব বাঁচি।
ভাইয়ের বুকের জমিনে ছিলো তোর অভয়ারণ্য;
ভাইদের কাছে তুই যে ‘শায়ন’- স্নেহমাখা আদর অফুরন্ত।
জানতিস তুই; তবুও কিসের ছিলো আকুতি!
ছুটছে তারা গুছিয়ে দিতে; আদুরে বোন যে আজ শেষ যাত্রী!
স্কুলের সেই পরিচিত মাঠে ফ্রিজারে আছিস যখন;
ইচ্ছে কি হচ্ছে তোর ছুটে বেড়াতে স্কুল বাড়ির সকল দালান;
খোলা মাঠ, আর তোর গানের অঙ্গন! কদমতলার হাওয়ায়
এখন তোরই স্নিগ্ধতার মাখামাখি! শত ভিড়ে কোথা তুই- বল দেখি!
আদরের ছোট বোন; কেমন করে আমাদের ছেড়ে থাকবি একা!
“আমার ভয় করে, শক্ত করে আগলে রাখো”- বল না আবার;
আদরমাখা বুকে তোকে আবার আমি জড়িয়ে রাখি।
দোর খুলে সেই মিষ্টি হাসি কোথায় গেলো- কেবল খুঁজি!