অনিন্দ্য আমার ইচ্ছে করছে হিমালয়ের কাছে
তোমার উষ্ণ আলিঙ্গনে এক কাপ কফির সাথে তুমুল আড্ডায় ডুবে থাকতে,
চলো না আমরা একদিন এভাবেই সময় কাটাই,
যাবে?
সেঁজুতি তুমি তো জানো, আমার বরাবরই পছন্দ সমুদ্রের বুকে সূর্যের মিশে যাওয়ার দৃশ্য,
ঠিক যেমন করে মিশে তুমি আমি।
চলো, দু’জনে সমুদ্রের ধারে বসে ঢেউয়ের শব্দ শুনি আর সূর্য ডোবার মুহূর্তটা উপভোগ করি
ওষ্ঠ যুগলের উষ্ণ অভ্যর্থনায়।

আকাশের তারা গুণে গুণে চলছে দু’জনের কথোপকোথন।
সত্যি রাতের গভীরতায় আমাদের ভেতরে অন্য এক মানুষের জন্ম নেয় তাই না অনিন্দ্য?
একেবারে অচেনা একটা পৃথিবীর মানুষ হয়ে উঠি।
মস্তিষ্কের সাথে অনুভূতিগুলো দৌড়াতে শুরু করে
কেমন যেন একান্তে মগ্ন হতে মন চায়।

সেঁজুতি দেখো, একটি নক্ষত্র কেমন উজ্জ্বল আলো নিয়ে হাজার তারার ভেতর ঝলমল করছে
কি অদ্ভুত মায়া ছড়িয়ে দিচ্ছে ঠিক তোমার মতো।
এই মায়াবী পরীটা সময়কে অবরুদ্ধ করে রেখেছে আলিঙ্গনের ছোঁয়ায়।
দূর কি যে বলো না তুমি
সব সময় বাড়িয়ে বলা,
ঠিক বুঝি তোমার বেহিসেবী কথামালা।
অনিন্দ্য চিৎকার করে বলে, থমকে দাঁড়াও রাত
লজ্জা রাঙা মুখটার সৌন্দর্য দেখি মন ভরে
এই বুঝি মুখ লুকালো আমার বুকের পরে।