সবুজ বনানী ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে বৃক্ষটি, ছেড়ে এসেছে পরিজন ও গোত্র।
দিনে দিনে ক্ষীণকায় শরীরটি হয়ে উঠেছে তার পোক্ত তাগত।
তারপর –
কেটে গেছে অনেক বছর, অনেক কাল।
প্রাজ্ঞ ঋষির মতো ধ্যানমগ্ন বৃক্ষটি অবলোকন করে চলেছে চারপাশের যতো যা,
ভুলে যায় বহুকাল ধরে বুকের অন্দরে লুকিয়ে থাকা তার ক্ষত ঘা।
রোদে পুড়ে, জলে ভিজে তবু চোখে ভাসে তার সৌম্য কান্ত জীবনানন্দ।
কাটে না কভু তার আটপৌরে জীবনের মোহ!
এক পাওয়ালা ধ্যানী বকের মতো সতর্ক দৃষ্টি মেলে দেখেই যায়- বলে না কিছু,
পোয়াতি সময়ে অবনত মস্তক হয় আরো নিচু, আরো নিচু।
যখন উপচে পড়া যৌবন তার অকাতরে বিলিয়ে দেয় সুধা ভাণ্ডার,
রিক্ত যৌবনে যেনো সলাজ আত্মসমর্পণ।
এভাবেই কেটে যায় তার যুগ পরম্পরা।
এভাবেই একদিন বৃক্ষদেবীর যৌবনে নামে খরা।
তারপর ধীরে ধীরে একদিন ছায়ালোভী মায়ালোভীরা দূরে সরে যায়,
নিঃসঙ্গ বৃক্ষটি অপেক্ষা করে-
অনন্ত একদিন এসে নিয়ে যাবে তাকে দূরঅজানায়!