বেদনার্ত সবাই চারিদিকে
প্রেয়সী প্রেমিক বা প্রিয়জনকে ঘিরে
বৈরী পরিবেশে বাতাসও চলে উল্টোদিকে
কখনো ঝঞ্ঝা বিক্ষুব্ধ তাণ্ডব মাথায় নিয়ে
বৈজয়ন্তী উল্লাসে জীবনের বাঁকে বাঁকে
কিংবা নিষ্ঠুর থাবা নিয়ে প্রলয়ঙ্করী সাজে
তছনছ করে দেয় সৃজিত পুষ্পোদ্যান
ধ্বংস করে অমরাবতী -মানুষের বাসস্থান।

ধ্বংসলীলা গ্রাস করে নিষ্পাপ জীবগুলো
অক্টোপাসের ঝাপটায় ধরাশায়ী নিরীহ মানুষগুলো
তাদের ত্যাগ তিতিক্ষা ছিল তুলনাহীন
কিন্তু সম্মোহনী শক্তি যে দু:সহ সীমাহীন
মুহূর্তেই ধ্বংস করে আপনজনের বন্ধন
কষ্টলব্ধ সাজানো বাগান যা ছিল দৃষ্টিনন্দন
এসব লোক বুঝে-না প্রেম ভালোবাসা
ক্রুর হাসিতে মিলিয়ে ফেলে নিখুঁত ভালোবাসা।

ধ্বংসযজ্ঞের পর দৃশ্যমান উল্লসিত জয়ধ্বনি
কিন্তু শুনতে পায়না নিজেদের পতন ধ্বনি
হঠাৎ আনন্দে তারা আত্মহারা
যে আনন্দ ঢেকে দিবে অমাবস্যার কারা
তারা আঘাত করে শাবল মেরে
ধর্ম ন্যায় নীতিকে প্রত্যাঘাত করে
ভালো বাসে তারা কপটতা দিয়ে
বর্বর কাপুরুষের মূর্তি ধরে।

সত্যের মুখোমুখি হতে তারা ভয় পায়
মিথ্যুকের গ্লানি নিয়ে পেছনে পালায়
সিংহের পরাক্রম শক্তিতে তারা দুর্বল
শৃগালের ধূর্ততায় যে তারা সবল
তাদের প্রলয় নৃত্যের মহা উল্লাস
প্রিয়জনের বুকে গভীর ক্রন্দন শ্বাস
প্রেয়সী প্রিয়জনের অন্তর আজ বিদীর্ণ
বেদনার্ত পৃথিবী যেন চূর্ণবিচূর্ণ।