পেঁজা তুলো মেঘ, শিউলি ঝরা ভোর। কাশবনে দোলা লাগে,ফুরফুরে হাওয়া। এ রোদ এ মেঘ। সুন্দর এ শরতে জন্ম আমার।আনন্দের পর বিরহের যোগ। আমার জন্মদিনের ঠিক পরদিনই তোমার অকালে চলে যাবার দিন। আমার প্রথম লেখা প্রথম বই পড়াতে তোমার অবিরল উৎসাহ্। কেমনে ভুলি।ছোটো ভাই বোনদের বেড়াতে নিয়ে যাওয়া ভাইটি আমার।কোথায় হারিয়ে গেলে।

কতোদিন দেখিনা তোমাকে। কতো গোছানো ছিলে। গল্পের পান্ডুলিপি দিয়ে বই বের করতে তাই কষ্ট হয়নি।
অগ্রজ অনুজ সকলে তোমাকে কত ভালোবাসেন। সনজীব বড়ুয়া দাদা মহাপ্রলয়ের দিনের ভূমিকা লিখে দিেেয়ছেন। প্রুফ ও দেখে দিয়েছেন। মহীবুল আজিজ স্যার, এজাজ ইউসুফী ভাই, রাশেদ রউফ ভাই, ডাঃ জিললুর রহমান ভাই সহ সাহিত্যের রথী-মহারথীদের সম্মিলন ঘটেছিলো তোমার বইয়ের প্রকাশনা উৎসবে।
মনে পড়ে সে কবে সাদা ফুল দিয়েছিলাম বলে এপিটাফ লিখে দিয়েছিলে।
এপিটাফ
বোন অধমেরে দিলি ফুল
করিসনে এই ভুল
যাই থাক লেখা
এপিটাফের পাশে
ভরে থাকে যেনো সুবাসে
লোবানে আতরে মাখা।
-মুহাম্মদ আলী শাহ্।
ইফতেখার মারুফ ভাই স্লোগান এ একটা পুরো সংখ্যা করেছেন তোমাকে নিয়ে এতে লিখেছেন সাফায়াত খান ভাই, শান্তনু দাদা তোমার মহাপ্রলয়ের দিনের বুক রিভিউ লিখেছেন। আমার স্মৃতিচারণও ছিলো ওতে।
বন্ধুরা তোমাকে ভোলেনি। ফেসবুকের সুবাদে তোমার বন্ধুদের সাথে মাঝে মাঝে যোগাযোগ হয়। চবি একুশ ব্যাচ থেকে তোমার নাম কে ওরা মগে লিখে স্মৃতি ফলক রেখেছে। বইমেলায় রাদিয়া প্রকাশন স্টলে আসেন কেউ কেউ। আমার জন্মদিনেও অনেকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন, সবার প্রতি আমি কৃতজ্ঞ। তোমার কবিতাগুলো, চিঠিগুলো হাতের কাছে পেলে বই করার ইচ্ছে। দিন ভর বৃষ্টি। আকাশকে আমার মনে হলো চোখ। ভাইকে হারিয়ে বোনের যে বেদনা সেটা বুঝেই বৃষ্টি পড়ছে। আমার চোখ ও ভরে উঠেছে জলে।তোমাকে হারানোর ব্যথা বাজতে থাকে বুকে। জেনো,ভুলিনি ভুলতে পারবোনা কোনোদিন।স্বর্গের শ্রেষ্ঠ আসনের অধিপতি হও। ছোট বোনটির লেখার মাঝে স্মৃতির মাঝে সজীব থাকো প্রিয় ভাইয়া আমার