মনের ভিতর অদ্ভুত এক চাপা আনন্দ কষ্ট দুঃখ হতাশা নিয়ে আমরা সবাইএবার নববর্ষ উদযাপন করেছি, এই একবিংশ শতাব্দীতে এসে কেউ কি ভেবেছিলো? আমাদের প্রত্যাশা গুলো ভিন্নরকম হয়ে যাবে! কিন্তু তারপর ও আমাদের বেঁচে থাকতে হবে এটাই সত্যি!
আমাদের মনে এতো বছর ধরে নতুন বছর নিয়ে যে ভাবনাটা কাজ করতো এই মুহূর্তে সেটা বেঁচে থাকার ভাবনায় বেশী কাজ করছে। আমাদের বেঁচে থাকার একমাত্র উপায় হচ্ছে করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধ। ২০২১ সালে আমাদের প্রত্যেকের শপথ নেয়া উচিত করোনার সাথে যুদ্ধ করতে হলে আমাদের আনুষাঙ্গিক যা করা প্রয়োজন আমরা তাই করবো। যেমন মাক্স পরা, হাত ধোয়া, চার ফুট দূরত্ব বজায় রাখা, দেশের বাহির থেকে যারা আসবে অবশ্যই তাদের ঘরের ভেতর ১৪ দিন বন্দী থাকা এবং আমরা প্রত্যেকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে জীবন ও জীবিকা নির্বাহ করা। সর্বপরি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ভাবে থাকা। শুধু আমি নিজে মাক্স পড়লে হবে না, রাস্তায় যখন বের হবো যাদের মুখে মাক্স দেখব না তাদেরকে সাথে সাথে সচেতন করবো।বাংলাদেশে এখনও ৭০ ভাগ মানুষ সচেতন নয় তারা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছে না, মাক্স পরছে না, অনেকে মাক্স পড়লেও সেটা নাকের নিচে কিংবা চিবুকের নিচে পড়ে থাকছে, একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে আমাদের প্রত্যেকের উচিত আমরা যখন কাজের প্রয়োজনে বের হবো আশেপাশের মানুষগুলাকে এই ব্যাপারগুলোতে সচেতন করা এখন আমাদের নৈতিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে, কারণ একটা মানুষ মাক্স পড়া মানে তিনি নিজে সচেতন হোন এবং আরেকজনকে করোনা থেকে বাঁচান তাই ২০২১ সালে আমাদের শপথ হোক করোনামুক্ত বাংলাদেশ গড়ার, প্রতিটি বাঙালি বেঁচে থাকার প্রত্যয় নিয়ে করোনার বিরুদ্ধে সবরকম যুদ্ধে শামিল হওয়া।