পৃথিবীতে অসংখ্য মানুষের বাস হলেও এক এক জনের স্বভাব চরিত্র একেক রকম। কারো মনে কৃতজ্ঞতা বোধ রয়েছে আবার কেউ অকৃতজ্ঞ। অকৃতজ্ঞ অর্থ, যে উপকারীর উপকার স্বীকার করে না। নিজ পরিবারের লোক বলেন, আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব বলেন, অনেক সময় দেখা যায় এদের মধ্যে ভালো মন্দ, সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায় বুঝার জ্ঞান থাকা স্বত্বেও অকারণে অন্যের প্রতি অকৃতজ্ঞ আচরণ করে।যেমন মা- বাবার প্রতি সন্তানের আজকাল কৃতজ্ঞতা বোধ নেই বললেই চলে।সমাজের বিভিন্ন ঘটনা ও বিভিন্ন পত্র পত্রিকা থেকে তেমন অহরহ ঘটনা দেখছি আবার শুনছি।এমন সন্তান কখনো উন্নতির বেশি দূর যেতে পারে না।পরিবারের বাইরেও আমরা সময়ে অনেকের উপকার পেয়ে থাকি।কেউ সামান্যতম উপকার পেয়ে যদি উপকারীর অগোচরে প্রশংসা করে, এতে অন্যরাও উপকার করতে অনুপ্রাণিত হবে। অথচ চলার পথে এমন লোকের বড়োই অভাব।একজন অকৃতজ্ঞ কারো দেয়া উপকারের কথা বেশি দিন মনে রাখে না বরং স্বার্থ উদ্ধার হয়ে গেলে কিভাবে কোথায় তাকে অপমান, অপদস্ত ও হেয় করা যায় সেই সুযোগ খুঁজে। এমন মানুষের সাথে আমার অনেক বাস্তব অভিজ্ঞতা রয়েছে। সুবিধাবাদী, সুযোগ সন্ধানী মানুষেরা জীবনে কতটা সাফল্য পেয়েছে জানি না তবে সত্যিকার অর্থে কাউকে ভালো কিছু দিতে পারে না। যেহেতু মানুষ মানুষের জন্য। তাই প্রতিনিয়ত আমরা কারো না কারো কাছ থেকে উপকার পেয়ে থাকি।দেখা যায়, যে বেশি মানবিকতা, সুহৃদয়তা দেখাবে, অকৃতজ্ঞরা তার হিতৈষীর প্রতি কোন সহানুভূতিবোধ না করে বরং সুযোগ বুঝে তার পিছনে বদনাম করে। মানুষ চিন্তা করে না, তার দেয়া আঘাত কখনো ঐ উপকারী ব্যক্তি ভুলতে পারে না। মনে সন্তুষ্টি ভাব অতি জরুরি। কারণ অকৃতজ্ঞতা থেকেই তৈরি হয় স্বার্থপরতা। আর স্বার্থপর মানুষ সকলের কাছে অপ্রিয় হয়। তাই সবার উচিত উপকারীর প্রতি কৃতজ্ঞ থেকে নিজের প্রতি সৎ থাকা এবং নিজের আত্মশুদ্ধিতে পরিশুদ্ধ করা।