ডেইজী মউদুদ। চট্টগ্রামে নারী সাংবাদিকতার ক্ষেত্রে অনন্য নাম। ১৯৮৬ সাল থেকে এই অঙ্গনে তাঁর পদচারণা। একজন সচল, সপ্রাণ ও সক্রিয় সংবাদকর্মী হিসেবে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠা করতে সক্ষম হয়েছেন। যদিও তাঁর আগেও বেশ কয়েকজন ‘নারী সাংবাদিক’ এখানে কাজ করে নারী সাংবাদিকতার ভিত্তি তৈরিতে ভূমিকা পালন করেছেন। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন শহীদ জায়া ও ভগ্নি বেগম মুশতারী শফী, বেগম ফাহমিদা আমিন, কাজী সুফিয়া আক্তার শেলী, হাস্না হেনা প্রমুখ। ১৯৮৬ সালে দৈনিক পূর্বকোণ প্রকাশিত হলে নাজনীন বেগম ও ডেউজী মউদুদ যোগ দেন সহ-সম্পাদক হিসেবে। বলতে গেলে চট্টগ্রামে পেশাদার নারী সাংবাদিকতা তাঁদের দিয়ে শুরু। এরপর এ অঙ্গনে অনেকে এসেছেন। নানা সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতা ডিঙিয়ে কাজ করছেন। আমি যখন চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ছিলাম, তখন চট্টগ্রামের নারী সাংবাদিকদের মূল্যায়নে সামান্য কাজ করার প্রয়াস পেয়েছিলাম। দৈনিক আজাদীতে বেশ কয়েকবার ফিচার ও প্রবন্ধ প্রকাশ করেছিলাম। বাংলাদেশ টেলিভিশন-চট্টগ্রাম কেন্দ্রে বিশেষ অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করেছিলাম। আমি দেখেছি, তাঁর পরবর্তী সময়ে যাঁরা এ অঙ্গনে এসেছেন, তাঁদের অনেকের প্রেরণা হলেন ডেইজী মউদুদ। নারী সাংবাদিকতার গতিপথকে তাঁরা মসৃণ করছেন।
সাংবাদিকতা ছাড়াও ডেইজী মউদুদ লেখালেখিতে সনিষ্ঠ। পত্র-পত্রিকায় প্রকাশিত হয়েছে অজস্র প্রবন্ধ। লিখেছেন অনেক কবিতা। লিখেছেন অসংখ্য ফিচার। কিন্তু পরিতাপের বিষয় তাঁর কোনো গ্রন্থ প্রকাশিত হয়নি।
ব্যক্তিগতভাবে তিনি কিছুটা অভিমানী; কিছুটা রাগীও। তবে বন্ধু বৎসল। দিলদরিয়া। তাঁর অনেক বন্ধু আমারও বন্ধু। বন্ধুদের নিয়ে ঘুরতে ভালোবাসেন, খাওয়াতেও ভালোবাসেন।
৯ আগস্ট ২০২২ ডেইজী মউদুদের ৬২ তম জন্মদিন। এ উপলক্ষ্যে তাঁকে জানাই শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন।
আপা, আপনি সুস্থ থাকুন। কোনো প্রকার দ্বিধান্বিত না হয়ে ঘোষণা দিন, এ বছরেই আপনার প্রবন্ধের একটা বই হবে। বলে দিলাম, আমরা আপনাকে হিংসা করবো না।