যে কোন ভ্রমণ মানুষের শারীরিক এবং মানসিক প্রশান্তির জন্য খুব উপকারী। হউক না সেটা চিত্ত বিনোদন কিংবা অবকাশ যাপন। কিন্তু আমার এই ভ্রমণ বলা যায় বাধ্যতামূলক। আগষ্ট, ২০১১।রোজা এবং ঈদের ছুটি চলছে কলেজে।চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে বাচ্চাদের চোখের জলে বিদায় দিয়ে হুইল চেয়ারে ইমেগ্রশানের অপেক্ষায় বসে আছি।সব ফর্মালিটিজ শেষ করে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সে নির্ধারিত সিটে বসলাম। বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স জাতীয় পতাকাবাহী বিমান।দেশের ঐতিহ্য, দেশের সম্মান।বিমানের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা যাত্রীদের ব্যক্তিগত চাহিদা অনুযায়ী সেবা প্রদানের মাধ্যমে ঐতিহ্যবাহী বাঙালী আতিথেয়তার কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে। আমার পায়ের গোড়ালি থেকে হাঁটুর উপর পর্যন্ত প্লাষ্টার।৪০ দিন আগে হরতালের সময় কলেজ থেকে আসার পথে কালুরঘাট ব্রিজের কাছে টেক্সিতে উঠতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা মোটর সাইকেল ধাক্কা দেয়। এতে আমার হাঁটুর মাষ্টার লিগামেন্ট ছিড়ে যায়।চট্টগ্রামের স্বনামধন্য অর্থোপেডিক চিকিৎসক জানালেন এটার একমাত্র চিকিৎসা অপারেশন। যা কিনা বাংলাদেশে নেই।না করলে ভবিষ্যতে হাঁটতে সমস্যা হতে পারে।বাংলাদেশের পার্শ্ববর্তী রাষ্ট্র ভারত এবং থাইল্যান্ডে এই অপারেশন করা হয়।এটা শুনে আমার হাজবেন্ড মহা চিন্তায় পড়ে গেলেন। একমাত্র বৌ খোঁড়া হয়ে যাবে, তা কিছুতেই মেনে নিতে পারলেন না।তাই চিন্তা ভাবনা করে থাইল্যান্ডে চিকিৎসা করানোর সিদ্ধান্ত নিলেন। উদ্দেশ্য চিকিৎসা এবং ভ্রমণ। সাধারণ মধ্যবিত্তরা যা সবসময় চিন্তা করে,এক ঢিলে দুই পাখি মারা।যাহোক নির্ধারিত সময় সকাল দশটায় বিমান ছেড়ে দিল।বাংলাদেশ বিমানের নিবেদিতপ্রাণ কর্মীরা কতক্ষণ পরপর খোঁজ খবর নিচ্ছেন আমার কিছু লাগবে কিনা।আমার সিটটা ও দেয়া হয়েছে একেবারে সামনের সারিতে।যাতে আমার কোন অসুবিধা না হয়।আমার পাশের সারীর সামনের সিটে আরেক বয়স্ক রোগী আছেন ছেলের সাথে।কথাপ্রসঙ্গে জানতে পারলাম উনি সাবেক পার্লামেন্ট মেম্বার।তবে চট্টগ্রামের না।উনি আমাদের বিভিন্ন পরামর্শ দিচ্ছিলেন থাইল্যান্ডে গিয়ে কি করা উচিৎ ,কি করা উচিৎ নয়। উনার স্নেহসুলভ কথাবার্তা আমাদের ও খুব ভালো লাগছে।এই করতে করতে একসময় আমি মেঘের দেশে হারিয়ে গেলাম।হঠাৎ সম্বিৎ ফিরে পেলাম বিমানে ইংলিশ এবং বাংলায় ঘোষণা দিচ্ছে আর মাত্র ৩০ মিনিট পর আমরা ব্যাংককের সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করবো।সিট বেল্ট প্লিজ। বিমানের দক্ষ কর্মীরা এসে জানালেন আপনার হুইল চেয়ার এসে যাবে,আমরা কন্ট্রোল রুমে কনফার্ম করেছি।সবাই নেমে গেলে তারপর আপনাকে নামানো হবে।ফ্লাইট ল্যান্ড করার পর সবাই যার যার মত নেমে গেলেন। এবার আমার পালা। কিরে উনি কই? উদ্বিগ্ন হয়ে যেটা জানলাম, সেটার জন্য আমার হাজবেন্ড এবং বাংলাদেশ বিমান কর্তৃপক্ষ কেউই প্রস্তুত ছিলেন না।আমার হুইল চেয়ার এই বিমানেরই একজন নিয়ে গেছেন,যিনি হুইল চেয়ার এর জন্য এক্সট্রা পেইড করেননি।বিমানেরই কয়েকজন যাত্রী যারা একটু দেরীতে নেমেছেন তারা জানালো, সেই সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য হুইল চেয়ারে বসে চলে যেতে দেখেছেন। আমার হাজবেন্ড বাংলাদেশ বিমানের অফিসারকে বললেন আপনারা আরেকবার লিষ্টটা চেক করেন। উনি কি ৫০০০ টাকার জন্য এরকম করবেন? উনারা বললেন প্রশ্নই আসে না,আমরা চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে শুধু একজন হুইল চেয়ার রোগী রিসিভ করেছি।সারাদিনের ক্লান্তি আর অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনায় বিমান বাংলাদেশের অফিসার এবং কর্মীরা হতাশ হয়ে বললেন, এধরনের যাত্রীদের জন্য আমরা ফ্লাইট নিয়ে বিদেশে গেলে কেউ আমাদের সম্মান করে না।এদিকে হুইল চেয়ার না থাকার কারণে আমাকে নামাতে পারছেন না আর বোর্ডিং ব্রিজ ও বিমান ও সরাতে পারছেন না।বাধ্য হয়ে কন্ট্রোল রুমে ফোন করে তীব্র প্রতিবাদ জানালেন বাংলাদেশ বিমানের কর্মীরা। তারা কেন টিকেট চেক না করে হুইল চেয়ার দিলেন।তাৎক্ষণিক সরেজমিনে দেখার জন্য ব্যাংকক এয়ারপোর্ট এর দুজন অফিসার আসলে বাংলাদেশ বিমানের অফিসাররা বললো আমরা কন্ট্রোল রুমে লিখিত অভিযোগ দিব। অফিসাররা হাতজোর করে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে বললো ভবিষ্যতে এ ধরনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে না।তারা এও বললেন যে বাংলাদেশের যাত্রীদের নিয়ে অনেকরকম কমপ্লেইন শোনা যায়, কিন্তু একজন রোগীর হুইল চেয়ার চুরি করবে, এটা তারা স্বপ্নে ও ভাবেননি।আমাদের ফ্লাইট ল্যান্ড করেছে ১২ টায়।অফিসিয়ালি হুইল চেয়ার ম্যানেজ করতে করতে দুপুর ২.৩০। সুবর্ণভূমি এয়ারপোর্ট বিশ্বের দশম ও এশিয়ার ষষ্ট ব্যস্ততম বিমানবন্দর।দৃষ্টিনন্দন এই বিমানবন্দরে ইমিগ্রেশনে সাধারণ এর জন্য এক লাইন, রোগী, বয়স্ক এবং সন্তান সম্ভবা মায়েদের জন্য আরেকলাইন।আধাঘণ্টার মধ্যে ইমিগ্রেশন শেষ করে বেল্ট থেকে আমার লাগেজ আর আমার হাঁটার স্ক্র্যাচ দুটি নিয়ে ট্যাক্সি ক্যাবে করে সুকুম্ভিট এর উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।ব্যাংককের পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাস্তা, আকাশচুম্বী টাওয়ার এবং আধুনিক স্থাপত্য দেখতে দেখতে আমরা সুকুম্ভিট এলাকায় পৌঁছলাম, যেখানে আগে থেকে কন্ডোনিয়াম বুক করা আছে।এখানে একটা কথা কৃতজ্ঞচিত্তে স্মরণ করতে চাই,এই কন্ডোনিয়াম চট্টগ্রাম থেকে টেলিফোনে ঠিক করে দিয়েছিলেন চট্টগ্রামের গণমানুষের নেতা সাবেক মেয়র মরহুম মহিউদ্দীন চৌধুরী। উনি আমার হাজবেন্ডকে খুব স্নেহের চোখে দেখতেন। আমি উনার আত্মার শান্তি কামনা করি।চট্টগ্রামের ছেলে শাহীন চৌধুরীর তত্ত্বাবধানে এই কন্ডোনিয়াম পরিচালিত হয়।আমাদের দেরী দেখে শাহীন ভাই খুব উদ্বিগ্ন হয়ে জিজ্ঞেস করলেন রাস্তা খুঁজে পেতে সমস্যা হলো কিনা?হাজবেন্ড বললেন, রাতে সবকথা বলবো, এখন চাবি দেন।খুব টায়ার্ড। দেখি উনি একটা কার্ড দিলেন। ওই কার্ড দরজার লকে লাগাতেই দরজা খুলে গেল।দারুণতো!যাহোক, শাহীন ভাই অনেক খাবার আর ফল এনে দিলেন। ফ্রেশ হয়ে সেগুলো অমৃতের মত খেয়ে লম্বা ঘুম।রাতে আমার হাজবেন্ড শাহীন ভাই এর নির্দেশমতো বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্টের খোঁজে বের হলেন।সুকুম্ভিট এলাকায় দুতিনটা বাংলাদেশী রেষ্টুরেন্ট আছে।তার মধ্যে মনিকাস কিচেনটা সবচেয়ে ভালো। ।এক বাংলাদেশী দম্পতি ওটার মালিক। বাবুর্চিও বাংলাদেশী।বন্ধুবৎসল স্বামী আমার ওই রেষ্টুরেন্টে গিয়ে দেশের মানুষ পেয়ে মনে হয় আমাকেই ভুলে গেছেন। অপেক্ষা করতে করতে ৯টায় উনি আসলেন। সাথে ভাত, মাছ,তিত করলা ভাজি আর ডাল।আহ, বিদেশের মাটিতে দেশীয় খাবার তৃপ্ত সহকারে খেলাম।কন্ডোনিয়ামে রান্নার করার সব সরঞ্জাম দেয়া ছিল।রাতে আমার হাজবেন্ড কিছু খাবার এনে রেখেছিলেন, সকালে তা দিয়ে ব্রেকফাস্ট সেরে আমরা হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম।হাসপাতাল আর আমাদের কন্ডোনিয়াম এর দূরত্ব মাঝখানে একটা রাস্তা মাত্র।আমি স্ক্র্যাচ নিয়ে হাজবেন্ড এর সহযোগীতায় আস্তে আস্তে যাচ্ছিলাম,রাস্তার ওপার থেকে একজন দাড়োয়ান ওয়েট ওয়েট বলে চিলাচ্ছেন।কেন করছেন বুঝতে না পেরে দাঁড়িয়ে গেলাম দুজনে। দেখি উনি দৌঁড়ে হাসপাতাল থেকে একটি হুইল চেয়ার নিয়ে আসলেন। উনার এই আন্তরিকতা আমাদের মুগ্ধ করেছে। দুজনে হাফ ছেড়ে বাঁচলাম।
বামরুনগ্রাদ হাসপাতাল থাইল্যান্ড তথা পুরো এশিয়ার নামকরা প্রাইভেট হাসপাতাল। আমাকে প্রথমে নাম এন্ট্রি, এবং ছবি তুলে আইডি কার্ড দেয়া হল।পরে ধাপে ধাপে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া থেকে সব কাজ ওই দাড়োয়ানই করলেন। আমাদের আর কোন চিন্তা করতে হয়নি। Dr.Dumronk Thanachanant থাইল্যান্ড তথা পুরো এশিয়ার নামকরা অর্থোপেডিক সার্জন, উনার কাছে নিয়ে যাওয়া হল।উনি আমাকে দেখে বাংলাদেশি এটেনডেন্সকে কল করলেন। আমরা বললাম লাগবে না।আপনিতো ইংলিশ বলবেন। উনি বললেন এই এটেনডেন্স হাসপাতালের নিয়োগকৃত।আপনাকে কোন এক্সট্রা পেইড করতে হবে না।যাহোক, বাংলাদেশি এটেনডেন্স খুব আন্তরিকতার সাথে ডাক্তারের সাথে আমার সমস্যার ব্যাপারে খুঁটিনাটি অনেক প্রশ্ন করলেন, যেটা হয়তো আমাদের মাথায় আসতো না।পরে জানলাম উনি বাংলাদেশের সরকারি মেডিকেল থেকে পাস করা ডাক্তার।ডাক্তার আমার প্লাষ্টার কেটে এক্সরে করতে পাঠিয়ে দিলেন।প্লাষ্টার কাটতে কাটতে উনি আমাদের দেশের ডাক্তারের অনেক সুনাম করলেন।বললেন, বিয়াল্লিশ দিন প্লাষ্টার থাকার পর ও পায়ে কোন ইনফেকশন হয়নি। রিপোর্ট দেখে উনিও আমাদের দেশের ডাক্তারের মত একই মত দিলেন, মাষ্টার লিগামেন্ট ছিড়ে গেছে।যেটা এক্সরেতে আসে না।এর একমাত্র চিকিৎসা অপারেশন। কিন্তু আপনার অপারেশন লাগবে না।আপনি অপারেশন ছাড়াই ভালো হাঁটতে পারবেন। আমার হাজবেন্ড ডাক্তারের এই কথায় সন্তুষ্ট হতে পারলেন না।বললেন, আমি একেবারে অপারেশন করেই বাংলাদেশে যাবো। ওখানে গিয়ে যদি আবার কোন সমস্যায় পড়ি।ডাক্তার বললেন আমরা প্রয়োজন ছাড়া কাউকে অপারেশন করি না।এই অপারেশন শুধুমাত্র প্লেয়ার, ড্যান্সার অর্থাৎ যাদের ফিজিক্যাল এক্টিভিটিজ এর কাজ তাদের প্রয়োজন। উনি শিক্ষক, উনার মাষ্টার লিগামেন্ট ছেঁড়া থাকলেও হাঁটতে কোন অসুবিধে হবে বা। ডাক্তার আমাদের আরো অভয় দিয়ে বললেন, আমার নিজের ও একপায়ের মাষ্টার লিগামেন্ট ছেড়া আছে।আমি দেশে বিদেশে রোগী দেখছি,স্বাভাবিক সব কাজ করছি।কোন সমস্যা হলে আমার ইমেইলে যোগাযোগ করবেন। ডাক্তার আমাকে কিছু ক্যালসিয়াম ট্যাবলেট আর হাল্কা কিছু ব্যায়াম দেখিয়ে দিয়ে বিদায় দিলেন।
হাসপাতাল থেকে বেরুচ্ছি তখনই সেই এম পি পুত্রের সাথে দেখা।আমার হাজবেন্ড উনার বাবার শারীরিক খবরাখবর নেয়ার পর সরাসরি গতকালের হুইল চেয়ার এর বিষয়ে জিজ্ঞেস করলেন। আপনি কি হুইল চেয়ার এর জন্য এক্সট্রা পেইড করেছিলেন? উনি বললেন না।গতকাল আপনি যে হুইল চেয়ার নিয়ে গেছেন এতে এয়ারপোর্টে ফ্লাইট শিডিউল নষ্ট হয়ে গেছে।বাংলাদেশের সম্মানহানি হয়েছে। উনি বললেন, বিষয়টা রাতে শুনেছেন। উনি দু:খ প্রকাশ করে বললেন, এক্সট্রা পেইডের কথা জানতেন না। পরে জানতে পারলাম উনি লন্ডন থেকে ব্যারিস্টারি পাস করে ঢাকা জর্জকোর্টে প্র্যাকটিস করছেন। আমার অবাক লাগলো, উনি লন্ডনে পড়ালেখা করে এই জিনিষটি জানেন না।
ব্যাংককের মানুষ খুবই ভদ্র এবং অমায়িক। অসুস্থ মানুষকে কিভাবে সেবা দিতে হয় সেটা উনাদের কাছ থেকে শিক্ষণীয়। একসপ্তাহ ওখানে থাকাকালীন সময়ে ডাক্তারের পরামর্শ মত আমাকে আর ও কয়েকদিন স্ক্র্যাচ নিয়ে চলাফেরা করতে হয়েছে। আমাকে স্ক্র্যাচ নিয়ে হাঁটতে দেখলে ট্রাফিক পুলিশ ওয়েট ওয়েট বলে সব যানবাহন বন্ধ করে দিয়ে আমাকে পার করিয়ে দিতেন। আমার হাজবেন্ড বলেন,তুমিতো এখানে এসে ভিআইপি হয়ে গেছ।তোমাকে দেখলে রাস্তার সব যানবাহন বন্ধ করে দেয়।হুইল চেয়ার এর সুবিধা আছে এরকম কয়েকটা জায়গায় বেড়ানোর সৌভাগ্য হয়েছে। তার মধ্যে সি লাইফ ওশেন ওয়ার্ল্ড অন্যতম। হাজবেন্ড এর সহায়তায় হুইল চেয়ারে বসে সমুদ্রের তলদেশের অপার সৌন্দর্য মুগ্ধ করার মত।স্বচ্ছ পানিতে হরেক প্রজাতির মাছ ঘুরে বেড়াচ্ছে। বিভিন্ন প্রজাতির শার্ক,বিশাল বিশাল অক্টোপাস, সি হর্স, স্টার ফিশ কি নেই এখানে!
সুকুম্ভিট এলাকায় ইন্দ্রা মার্কেট, নাইট মার্কেট সহ আর ও অনেক ভালো ভালো মার্কেট আছে।ঘুরে ঘুরে কিনে নেয়া যায় ব্যাংককের নানা জিনিষ।বিশেষ করে ব্যাগ, স্যান্ডেল ও মেয়েদের নানা ধরনের গহনা।রাস্তার পাশে পাওয়া যায় নানা ধরনের স্ট্রীট ফুড।আরো আছে জানা অজানা বিভিন্ন ধরনের ফল।যা ভ্রমণের ক্লান্তি দূর করে দেয়।বিশ্ববিখ্যাত ম্যাকডোনাল্ড এবং কে এফ সি ও রয়েছে।চাইলে রাতের ডিনার ওখানে সেরে ফেলা যায়।
ব্যাংককে এয়ারপোর্ট, হসপিটাল, মার্কেট সব জায়গায় সেন্সর এর ব্যবহার। দরজার সামনে দাড়ালেই স্বয়ংক্রিয় ভাবে দরজা খুলে যায়।পানির ট্যাপের সামনে হাত নিলেই পানি পড়ে।কোন কিছু টাচ করতে হয় না।করোনাকালীন সময়ে টাচের মাধ্যমে করোনা ছড়ানোর ঝুঁকি ওদের দেশে নেই বললেই চলে।যেখানে সেখানে ধুমপান করা যায় না।ধুমপানের জন্য আলাদা স্মোকিং জোন আছে বিভিন্ন জায়গায়।
ছুটিতে বেড়ানোর এশিয়ার সবচেয়ে সস্তা এবং আকর্ষণীয় জায়গা থাইল্যান্ড। এবার আমাদের ঘরে ফেরার পালা। সঙ্গে নিয়ে ফিরলাম একরাশ ভালো লাগা আর বুক ভরা ভালোবাসা। আবার বাচ্চাদের নিয়ে আসবো, এই অঙ্গীকার করে এবারের মত বিদায় ব্যাংকক।