শৈলীতে আজ বুধবার বসেছিলো সান্ধ্য আড্ডা। এমন সময় রাশেদ রউফ ভাইয়ের কাছে ফোন এলো পশ্চিমবঙ্গের এক অতিথি আসছেন চট্টগ্রাম একাডেমিতে। কিছুক্ষণ পর মিনু মিত্রের সঙ্গে আড্ডায় এলেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষাবিদ ইমদাদুল হক। রাশেদ রউফ ভাই বললেন, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘মহাভারত ও রবীন্দ্রনাথ: আর্থসামাজিক ভাবনা’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি এসেছেন। ঘুরে দেখছেন চট্টগ্রাম। চট্টগ্রামে এই প্রথম কিনা রাশেদ ভাই জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটি দ্বিতীয়বার। এর আগে এসেছিলাম ২০০১ সালে। প্রশ্ন খুঁজতে। এবার প্রশ্ন রেখে গেলাম। আবার যখন আসবো, উত্তর পেয়ে যাবো আশা করি। ২০০১ থেকে ২০২৩, দীর্ঘ ২২ বছরে কোনো পরিবর্তন দেখছেন কি? এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি ছোট্ট করে বললেন, পরিবর্তন অনেক। নেছার আহমদ ভাই পশ্চিমবঙ্গে তাঁর বাসস্থান সম্পর্কে জানতে চাইলেন। তিনি বললেন, পার্কস্ট্রিট। বললেন, বাড়ির সামনে একটি শতবর্ষী গাছ ছিলো। এখন নেই। তবে নানারকম গাছ আছে। কলকাতার বাড়িগুলো এখানকার মতো ঘিঞ্জি নয়। প্রতিটি বাড়ির সামনে স্পেস থাকে, তাতে গাছ থাকে। প্রসঙ্গে যোগ হলো ইমদাদুল হক এর গোল পাহাড়ের পাশে দেখা বাড়ির কথা। একদম রাস্তা ঘেঁষে বাড়ি। একটা গাছও লাগানোর জায়গা নেই। সেখান থেকেই কথার মোড় ঘুরলো চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের দিকে। দুর্দান্ত সুন্দর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কথা বলতে গিয়ে তিনি বলেন, গাছপালায় ঘেরা এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা প্রকৃত শিক্ষা পাবে। শিক্ষিত হতে হলে মাটিকে জানতে হয়। তারা সেই মাটির সংস্পর্শে থেকেই পড়াশোনা করছে। রাশেদ রউফ ভাই যোগ করলেন, তাঁদের ছাত্রজীবনে দেখা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান অনুষদের পাশে ফরেস্ট্রি বিভাগের কথা। বন বিভাগ মানে একেবারেই বনের মতো। হরিণ ঘুরতো নির্ভয়ে। এখনো সাপের অভয়ারণ্য চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস। এলো বক্তৃতার প্রসঙ্গ। শিক্ষাবিদ ইমদাদুল হক বলেন, পশ্চিমবঙ্গের চেয়ে রবীন্দ্র পাঠকের সংখ্যা বাংলাদেশে বেশি। তবে রবীন্দ্রচর্চা আরও হওয়া উচিত। মানুষকে সুন্দরের কাছে ফিরতে হলে রবীন্দ্রচর্চা করতে হবে। কথায় কথায় ঘড়ির কাঁটা ন’টার ঘর পেরিয়ে গেলো। ভাঙতে হবে আড্ডা। রাশেদ রউফ ভাই অতিথিকে উপহার দিলেন ‘দশ দিগন্তে বঙ্গবন্ধু’ নেছার আহমদ ভাই দিলেন ‘শিল্পশৈলী’ আমি ‘অনন্য ধারা’।