শারুদ নিজাম। কবি, সংগঠক ও পরিবেশকর্মী। নব্বইয়ের দশকে লেখালেখির হাতেখড়ি হলেও মাঝখানে নানা ব্যস্ততায় দীর্ঘ বিরতি। তারপরও মনেপ্রাণে লালন করেছেন সাহিত্য ও সংস্কৃতি চর্চা। ব্যস্ততার মাঝেও লেখালেখিতে আবারও সক্রিয় হন কয়েক বছর আগে। ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে তাঁর কবিসত্তার বেড়ে ওঠা। তিনি দেখেছেন ব্যক্তি-মানুষের লোভ-লালসা, সুবিধাসন্ধানীর লোলুপদৃষ্টি, দেখেছেন আপসকামিতা কিংবা কূটচাল। অবলীলায় বলতে পেরেছন :

কাছাকাছি থাকা কিছু মানুষের চেয়ে
দূরের আকাশকে অনেক কাছের মনে হয়।
চেনা আকাশটা কখনোই রং বদলায় না।
আর চেনা জানার ফাঁকে মানুষই বদলায়,
এটাই আকৃতিগত মানুষের প্রকৃতি!

তিনি পংক্তি নির্মাণ করেন আপন অনুভবের একান্ত আলোয়। তাতে বক্তব্য বা বাণী বড় হয়ে ওঠে। ছন্দ ও ছন্দহীনতায় নির্মাণ করেন কবিতার অবয়ব। বলা যেতে পারে তাঁর কবিতাগুলো তাঁর একান্ত অনুভবজাত অনুপম সৃষ্টি। প্রকাশিত হয়েছে তাঁর একটি কাব্যগ্রন্থ। নাম : ‘ভগ্নাংশের যোগ বিয়োগ’। এছাড়া সম্পাদনা করছেন চট্টগ্রাম একাডেমির স্বাধীনতার বইমেলা উপলক্ষ্যে প্রকাশিতব্য সংকলন ‘স্বাধীনতার বইমেলা স্মারক ২০২০’।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে রাজনীতি বিজ্ঞানে বিএসএস (অনার্স), এমএসএস; আরো পরে প্রেস্টন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এমবিএ সমাপন। ‘পরিবেশ ও জীবন’ নামে একটি পত্রিকা সম্পাদনা করেন। ছাত্রজীবন থেকেই স্কাউট, বিএনসিসি, রোটার‌্যাক্ট, ফ্যাশন ডিজাইনিং এর সাথে জড়িত ছিলেন। অনেক সম্মাননা ও প্রাপ্তি আছে ক্যারিয়ার জুড়ে। তিনি কুঞ্জমেলা সামাজিক সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা। চট্টগ্রাম একাডেমির নির্বাচিত পরিচালক। চট্টগ্রাম কলেজ ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক। এছাড়া অনেকগুলো সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত তিনি।
শারুদ নিজামের জন্ম বন্দরনগরী চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধের বছর, মুজিব নগর দিবসে। তাঁর শৈশব ও কৈশোর কেটেছে পাঁচলাইশে। পেশায় একজন শিল্পোদ্যোক্তা। ‘গ্রীনিচ’ মেন্স ফ্যাশনের প্রধান নির্বাহী হিসেবে কর্মরত আছেন।