পাহাড় ও সমুদ্র চট্টগ্রামকে ভৌগোলিক বিশিষ্টতা দিয়েছে। ভৌগোলিক পরিবেশের সাথে মানুষের জীবনধারণের ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়া গভীরভাবে সম্পর্কিত। চরের মানুষে ও হাওড়ের মানুষে, নদীপারের মানুষে ও বনাঞ্চলের মানুষে, সমতলবাসী ও পাহাড়ী অঞ্চলের মানুষের জীবনযাত্রার তফাৎ কে অস্বীকার করতে পারে। জীবনধারণের ক্রিয়াকর্মের ওপরই তো সংস্কৃতির প্রকাশ ঘটে। ফলে সংস্কৃতির ওপর ভৌগোলিক প্রভাব অকাট্য।
ইতিহাসের গতিবিধি নির্মাণ করে ঐতিহ্য-সংস্কৃতির হিরণ্যগর্ভ। ইতিহাসে দেখা যায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ-পুবের আরাকান ও উত্তর-পুবের ত্রিপুরীদের দখলিস্বত্ব কায়েমের রণক্ষেত্র, বারবার হাতবদল নয়ত যুদ্ধাবস্থা বিরাজ করেছে। আর সমুদ্রবন্দর টেনে এনেছে দূরদূরান্তের বণিক ও নাবিকদের। আরব, পর্তুগিজ ও অন্যান্য নাবিক-বণিক-দস্যুর দল প্রায় সহস্র বছর ধরে নিত্য আনাগোনা করায় তাদের প্রভাব চট্টগ্রামের জনজীবনে স্বাভাবিকভাবেই পড়েছে। দশম শতাব্দীতে দেখা যাচ্ছে চট্টগ্রাম আরাকান রাজ্যের অধীনস্থ। ১৩৪০ খ্রিস্টাব্দে গৌড়ের সুলতানের কব্জাভূত হয়ে চট্টগ্রাম গৌড়বাংলার অংশ হয়। এর আগে পালযুগে রাজা ধর্মপালের সময় অল্পদিনের জন্যে চট্টগ্রাম পালদের বৃহত্তর বাংলার অংশ ছিল। ১৬৬৬ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ মোগল সুবেদার শায়েস্তা খান চট্টগ্রামকে সুবে বাংলার অংশ করে নিতে সক্ষম হন। তারপরেও এখানে পর্তুগিজ-ইংরেজদের দখলিস্বত্ব কায়েমের হানাহানি চলেছে এবং শেষে ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে মীর কাসেম প্রদত্ত সনদের মাধ্যমে চট্টগ্রাম ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির হাতে চলে যায়। তারপর থেকে ইংরেজ শাসনের শুরু।
ফলে ইতিহাস বলেছে চট্টগ্রামে আরাকানি, বর্মি, ত্রিপুরি, আরব, পর্তুগিজ ও বৃটিশদের প্রভাব পড়েছে তার ভাষায় পেশায় চিন্তায় আচারে অর্থাৎ মোটামুটি জীবনের সবক্ষেত্রে। তবুও লক্ষ্য করলে দেখা যাবে চট্টগ্রামকে বিদেশী প্রভাবের দিক থেকে দু’ভাগে ভাগ করা যায়। ফেনী নদীর দক্ষিণ তীর থেকে কর্ণফুলি নদীর উত্তর-পশ্চিম তীর পর্যন্ত ভাগটি নিশ্চিতভাবে গৌড়, হরিকেল, সমতট ইত্যাদি বৃহত্তর বাঙালি ঐতিহ্যে ঋদ্ধ রাজ্যের অন্তর্গত ছিল। কর্ণফুলির দক্ষিণ-পূর্ব তীর থেকে নাফ নদীর উত্তর তীর পর্যন্ত অঞ্চলটি ১৭৫৬ অবধি আরাকান রাজ্যভুক্ত ছিল। আরাকান এবং এই এলাকাকেই সম্ভবত চট্টগ্রামের মানুষ রোসাং রাজ্য বলত। তবে শঙ্খ নদীর উত্তর-পূর্ব পার পর্যন্ত কোন কোন সময় বৃহত্তর বাংলার অংশ ছিল এমন ভাবারও যুক্তি আছে। এছাড়াও মনে রাখা দরকার যে, এলাকাটি কিছুকাল আগেও পার্বত্য চট্টগ্রাম নামে পরিচিত ছিল, যা ১৮৬০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত ছিল চট্টগ্রামের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। আবার পার্বত্য চট্টগ্রামের কোল ঘেঁষে চট্টগ্রামের বহু জনপদের অবস্থিতি। তাই ওখানকার প্রধান উপজাতি মগ ও চাকমাদের সাথেও কিছু সাংস্কৃতিক বিনিময় স্বাভাবিকভাবেই ঘটেছে।
॥ ২ ॥
এখানকার প্রকৃতির দুই প্রধান উপাদান সমুদ্র ও পাহাড়। সমুদ্র বছরে বেশির ভাগ সময় প্রগল্ভ ও উত্তাল, পাহাড় মূক ও নিথর, কিন্তু দুই-ই রহস্যময়, দুয়েরই রয়েছে খামখেয়ালি, মানুষ যার নাগাল পায় না, রহস্যের জট খুলতে পারে না। এর সাথে যুক্ত হয়েছে রাজনৈতিক অঙ্গনে ক্ষমতা প্রতিষ্ঠার অস্থিরতা ও হানাহানি। দু’য়ে মিলে এখানকার সাধারণ মানুষকে করেছে অদৃষ্টবাদী। অদৃষ্টবাদীর মনে ভক্তিভাব প্রবল হবে এটাই স্বাভাবিক। প্রকৃতিও মানুষকে আবেগপ্রবণ করেছে, ঠেলেছে অন্ধবিশ্বাসের দিকে। ভক্তি ও বিশ্বাসের পাখায় ভর দিয়ে মানুষ নানা ধর্মের জোয়ারে যে গা ভাসাবে সেটাও স্বাভাবিক। তবে ভক্তি ও বিশ্বাসের জোর বেশি বলে হিংসা এখানে স্বভাবতই স্থান পায় নি। প্রকৃতি পূজা, প্রতিমা পূজা ও হিন্দুধর্মে বিশ্বাস, বৌদ্ধ মতাবলম্বন, প্রধানত হীনযানী ধারায়, পুনরায় হিন্দুত্বে দীক্ষা, ইসলামের প্রবল জোয়ার, এভাবে দোলায়িত হয়েছে মানুষের আধ্যাত্মিক চিন্তা ও আবেগ। প্রত্যেক ধর্মই সার্বিকভাবে মানুষের মনে তথা তার সাংস্কৃতিক পরিম-লে বিচিত্র ছাপ রেখেছে। হিন্দু-মুসলিম-বৌদ্ধ-খৃস্টান এই চতুধর্মের সমন্বয় এমনভাবে আর কোন জেলায় দেখা যায় না।
অন্য জেলার মানুষ চট্টগ্রামে এসে হোঁচট খান স্থানীয় বাসিন্দাদের মুখের ভাষা শুনে। বাক্যের গঠনস্বাতন্ত্র্য, অপভ্রংশ ও বিকৃতির আধিক্য, আরবিজাত শব্দের বহুলব্যবহার, কিছু মগ-বর্মি শব্দের ব্যবহার, হিন্দু-মুসলিমের ভাষাস্বাতন্ত্র¿্য, উচ্চারণ ও কথনে দ্রুততা-সংক্ষেপণ প্রবণতা ইত্যাদি মিলে এ ভাষা সাধারণভাবে বাংলাভাষিদের কাছে দুর্বোধ্য। মুসলমান রমণীদের পোশাকে বর্মি প্রভাব এখনও দক্ষিণাঞ্চলে লক্ষ্য করা যায়। সমুদ্র ও বন্দরের কারণে সুদূর অতীত থেকে এখানে জাহাজ ও নৌকা নির্মাণ এবং খালাসি ও সারেঙের পেশা, আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য, দোভাষির কাজ, জাহাজ ও বন্দরকে ঘিরে আরও কিছু পেশা চট্টগ্রামি বৈশিষ্ট্য হিসেবে অনেককাল টিকে আছে। খাদ্যাভ্যাসে শুটকি মগ-বর্মিদের প্রভাব হবে নিশ্চয়। ব্যবসার কারণে এখানে নগদ টাকার লেনদেনই বেশি, সমাজে টাকাওয়ালার প্রতিপত্তিও ব্যাপক। ‘ডঁর মানুষ’ অর্থাৎ ‘বড়লোক’ এখানকার খুবই ব্যবহৃত শব্দ। নগদ টাকার দুই রূপ, টাকা মেজাজী করে মানুষকে (টাকার গরম বলে একটা কথাতো আছেই) আর টাকা মানুষকে অদৃষ্টবাদী করে। এককালে সত্যিই চট্টগ্রামিদের সম্পর্কে অনেকের ধারণা ছিল যে, এদের মাথা গরম। তবে এর সত্যতা কেউ যাচাই করে দেখে নি। তবে এখানে যেভাবে রাতারাতি মাজার গজিয়ে ওঠে তা আর্থিক পৃষ্ঠপোষণা ছাড়া কি সম্ভব? অদৃষ্টবাদীরাই সাধারণত এসব স্থানে টাকা ঢালে। এখানে ধর্মনির্বিশেষে ভক্তিভাব বেশি এবং ঐতিহ্যগতভাবে ধর্মীয় কোন্দল কম। তাছাড়া অর্থকরী দিক থেকে বড় দুই সম্প্রদায় হিন্দু-মুসলিমে তেমন ফারাক না থাকায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তেমন চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হয় নি, ইদানীং রাজনৈতিক ঘোলাজলের দাপটে অবশ্য সে ঐতিহ্যে মরচে ধরেছে।
এককালে বলী খেলা, যা এখনও টিম টিম করে টিকে আছে, গরুর লড়াই এসব ছিল চট্টগ্রামের বিশিষ্ট ক্রীড়া। এর মধ্যে মগের না আরবের, পর্তুগিজের না ত্রিপুরীর প্রভাব আছে বলতে পারব না।
॥ ৩ ॥
গ্রামবাংলার প্রধান প্রধান সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্য হিসেবে ডাকসাইটে কয়েকটি হলো ঃ নকশিকাঁথা, ভাটিয়ালি-ভাওয়াইয়া, কীর্তন ও বাউলগান, কথকতা ও পালাগান, বাইচ, শাঁখা ও কাঁসার কাজ, মাটির কাজ, পিঠাপুলি, নানা স্বাদের ব্যঞ্জন, আল্পনা, জামদানি-টাঙ্গাইল-বিটি শাড়ি, সাধারণভাবে নানা জাতের সূক্ষ্ম বস্ত্র, কৃষিকাজ বিশেষত পাট উৎপাদন, বাঁশ-বেতের আসবাব, দুগ্ধজাত মিষ্টি ইত্যাদি।
চট্টগ্রামে নকশিকাঁথা বস্তুত নেই, বুটিকগুলো হালে যা তৈরি করাচ্ছেন সেটা বাণিজ্যিক কাজ, জীবনসংস্কৃতির অঙ্গ নয়। ভাটিয়ালি-ভাওয়াইয়া তুল্য কোন ডাকসাইটে সঙ্গীত রীতির জন্ম দেয়নি চট্টগ্রাম। ঢাকাÑফরিদপুর অঞ্চলে বাইচ জীবনের অঙ্গ, এ নিয়ে গান উৎসব তো আছেই, আছে রিচুয়াল। র্কীতনীয়া বা বাউল সম্প্রদায় চট্টগ্রামে স্বভাবত কম দেখা যায়। ঢাকার শাঁখা ও কাঁসার কাজ, রাজশাহী, ফরিদপুরের মাটির কাজ চট্টগ্রামে নেই। বাংলার বার মাসের তের পার্বণের সাথে বরাবর ছিল পিঠাপুলি, কিন্তু চট্টগ্রামে বেলা বিস্কুটের খ্যাতি যত তেমন কোন পিঠাপুলির যশ নেই। বাঙালির গর্ব মিষ্টি চট্টগ্রামের খাদ্য সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে না (ইদানীং অবশ্য এ চিত্র পাল্টাচ্ছে)। চট্টগ্রামি রান্নার ধারাটা, যে সব নিয়ে বাঙালি রান্নার বড় গলা, তার মধ্যে বিশেষ পড়ে না। এর একটা কারণ হয়ত এই যে, অন্য কোন জেলার মত এখানে হিন্দু-মুসলিমে অভিন্ন বাঙালি রান্নার ঐতিহ্য ছিল না, রান্নার ধারাটা পৃথক। বাঙালির প্রাচীন ঐতিহ্য বস্ত্রেও চট্টগ্রামের বিশেষ অবদান নেই।
এটা দৈন্যের তালিকা ভাবলে পাঠক আমাকে ভুল বুঝবেন। আমি চট্টগ্রামবাসীর সাংস্কৃতিক বৈশিষ্ট্যের ভিতরকার একটি রূপ তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
বাঙালি সংস্কৃতির বাঘা বাঘা বিষয়ে ঐতিহ্যগত যোগ ছাড়াই চট্টগ্রামবাসী কি বাঙালি ঐতিহ্যের ধারক? সে কি রাজশাহী, যশোহর, ফরিদপুর, ময়মনসিংহের মানুষের মত/মানে বাঙালি? তার মধ্যে কি আলাদা চট্টগ্রামি দেশপ্রেম কাজ করে? অন্য জেলাবাসীদের কাছ থেকে এরকম একটা অভিযোগ অনেক সময় ওঠে যে চট্টগ্রামিরা নিজেদের মধ্যে গুটিয়ে থাকতে ভালোবাসে।
আবার কালের প্রবাহে আধুনিকতার ছোঁয়ায় কোন কিছুই তো আর ঠেকে থাকছে না। সাধারণ একজন চট্টগ্রামির জন্যে যে প্রমিত বাংলাভাষা ছিল যারপরনাই একটি বিদেশী ভাষা তাকেই কিনা ধীরে ধীরে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, অফিস-আদালত ও জাতীয় মূলধারার অন্যান্য কার্যক্রমের সূত্রে ঘরের ভাষা বাদ দিয়ে জাতীয় ভাষা চর্চা করতে হচ্ছে। বাণিজ্যচতুর কোন আড়ং, কারিকা, শাড়িবিতান-মিষ্টিমুখ ইত্যাদি যেমন নকশিকাঁথা শাড়ি, মিষ্টি, মাটির সরা, পুতুল বাজারজাত করছে তেমনি এই ভাষা বিকল্পকেও স্বাগত জানাচ্ছে মানুষ। রেডিও-টিভি ইত্যাদি প্রচারমাধ্যম প্রমিত বাংলা ভাষা এবং বাংলাগানের ধারাকে প্রতিষ্ঠিত করে দিয়েছে। উঠতি বর্ধিষ্ণু পরিবার নানা যোগযোগের সূত্রে নিয়ে এসেছে একান্ত বাঙালি খাদ্যরুচি এবং দৈনন্দিন জীবনের আরও নানান বাঙালি বৈশিষ্ট্য।
চট্টগ্রাম বাংলাভূমির ও বাঙালি সংস্কৃতির সীমান্ত বা একটি প্রান্তিক এলাকা হলেও একবার মূলস্রোতে যুক্ত হয়ে তার স্বভাবত উদ্যমী মনোভাবেরই প্রমাণ রেখেছে। সেই কবে সপ্তদশ শতাব্দীতে চট্টগ্রামের কবি বাংলাভাষার প্রতি সর্বোচ্চ দায়বদ্ধতার প্রমাণ রাখলেন। সন্দ্বীপের কবি আবদুল হাকিম লিখলেন- ‘যেসবে বঙ্গেত জন্মি হিংসে বঙ্গবাণী/সেসব কাহার জন্ম নির্ণয় ন জানি।’ এটুকুতেও তিনি ক্ষান্ত হন নি, তারপরে কঠোর ভাষায় বললেন- ‘দেশি ভাষা বিদ্যা যার মনে ন যুয়ায়/ নিজ দেশ ত্যাগী কেন বিদেশ ন যায়।’
ঐ সময়ে আরাকান রাজসভায় চর্চা হয়েছে বাংলা সাহিত্যের। এখানে সাহিত্যসেবী আলাওল, দৌলত কাজী, মাগন ঠাকুরদের মধ্যে চট্টগ্রামবাসীরই জয়জয়কার। তাঁদের নিয়মিত যোগাযোগ ছিল চট্টগ্রামের সাথে।
ব্রিটিশ আমলে চট্টগ্রামের জাগরণ হয়েছে ব্যাপকভাবে- রাজনীতিতে যেমন চট্টগ্রাম অগ্রণী ভূমিকা নিয়েছে তেমনি বাংলাভাষা ও সাহিত্যের চর্চায়ও এগিয়েছিল চট্টগ্রাম। আর কি ব্যবসা-বাণিজ্যের কি রেল ও বন্দরের কেন্দ্র হিসেবে চট্টগ্রাম অখ- বাংলায় তো বটেই, বাংলা-বিহার-আসামসহ পূর্ব ভারতে এবং সর্বোপরি সর্বভারতে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে। আর এভাবে বাংলাভূমিতে চট্টগ্রামের স্থান হয়ে ওঠে রাজধানী কলকাতার পরেই। চট্টগ্রাম থেকে নবীন সেন, শরচ্চন্দ্র দাশ, জে. এম. সেনগুপ্ত, মনিরুজ্জামান ইসলামবাদী, আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ, বেনীমাধব বড়ুয়া, সূর্য সেন, রমেশ শীল, মাহবুবউল আলম, সুরেন দাশ, আবুল ফজল, ড. এনামুল হক, বুলবুল চৌধুরী প্রমুখ সর্বার্থে বাঙালি এবং বাঙালি মনীষার কুলপুরুষের অভ্যুদয় হয়েছিল। এঁরা শিক্ষা-শিল্প-সংস্কৃতির উচ্চতর পরিম-লের মানুষ হলেও এদের সাধনা চট্টগ্রামকে কেবল মূল বাঙালি সংস্কৃতির স্রোতে টেনে আনে নি, তাতে সময় সময় অগ্রণীর আসনে বসিয়েছে। পরবর্তী রাজনৈতিক সাংস্কৃতিক আন্দোলন ক্রমেই চট্টগ্রামকে বাংলার প্রান্ত থেকে কেন্দ্রে পৌঁছে দিয়েছে।