চন্দ্রশিলা ছন্দা। বাংলাদেশের সাহিত্যাঙ্গনে পরিচিত এক নাম। ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ, কলামসহ নানা শাখায় তাঁর স্বতঃস্ফূর্ত বিচরণ। কবিতায় যেমন স্বচ্ছন্দ, তেমনি গদ্য রচনাতেও শক্তিমান। ইতোপূর্বে প্রকাশিত হয়েছে তাঁর কাব্যগ্রন্থ ‘ছি’, ‘ভালোবাসা দ্রোহে, ভালোবাসা মোহে’, ‘স্পন্দনে তুমি’, ‘দেহ ভাস্কর্য’ এবং ‘পুড়ছে দেখো জলের শরীর’।
প্রেম সে এক অনিবার্য ও অপরিহার্য অনুষঙ্গ। সে এক চিরন্তন অনুভূতি। বাংলা কবিতার হাজার বছরের ধারাবাহিক গতিময়তায় প্রেমানুষঙ্গ সমানভাবে প্রবহমান। কবি চন্দ্রশিলা ছন্দা সেই ধারারই এক প্রতিনিধি, যাঁর কবিতায় মানবপ্রেম মূর্ত হয়ে ওঠে। মানুষের আবেগ-আকুলতা, সহজাত আকর্ষণ, প্রাপ্তি-অপ্রাপ্তির আনন্দ-বেদনা ও বিরহ-মিলনের অন্তর্গত অনুভব প্রতিধ্বনিত হয়েছে তাঁর কবিতায়। উঠে এসেছে মানবীয় প্রেম, ভালোবাসার রূপ-রস ও গন্ধ। সমাজের কঠিন ও রূঢ় বিষয়ও কোনো কোনো কবিতায় অনুষঙ্গ হিসেবে পেয়েছে বর্ণিল রূপ। প্রতিটি গ্রন্থই চন্দ্রশিলার অনবদ্য সৃজনকর্ম, যেখানে কবির ঘাম ও মেধা পেয়েছে শিল্পীত আদল।
চন্দ্রশিলা ছন্দা মূলত বড়দের জন্যই লিখলেও কিশোরকবিতা ও শিশু কিশোর উপযোগী গল্প লেখাতেও স্বচ্ছন্দ। ‘পরির সাথে এ মন মাতে’ তাঁর প্রথম কিশোরকবিতার বই। তারই ধারাবাহিকতায় পরে প্রকাশিত হয়েছে কিশোর গল্পগন্থ ‘তিতলির ভালো কাজ’। প্রকাশিত হয়েছে বড়দের জন্য গল্পের বই : ‘বিভাজিত বৃত্তে’।
চন্দ্রশিলা ছন্দার জন্ম ১৬ই অক্টোবর, চাঁপাইনবাবগঞ্জে। মহানন্দা নদীর পাড় ঘিষে তাঁর শৈশব কেটেছে। বাবা বাংলাসাহিত্যের অধ্যাপক ছিলেন। বাবার অনুপ্রেরণায় ছেলেবেলা থেকেই কবিতা, ছড়া লেখা শুরু। লেখালেখির পাশাপাশি গানেরও চর্চাও ছিল তার। তাঁর স্বপ্ন কবিতার মতো সবুজ, সুন্দর ও স্বপ্নীল সমাজ।