অনেক অনেক শ্রদ্ধা জানাই আমার বাবা সহ পৃথিবীর সকল বাবাকে।
আমরা সবাই প্রতি বছর বিভিন্ন দিবস পালন করি এবং মা দিবসও পালন করা হয়। কিন্তু বাবা আমাদের মেরুদন্ড, পরিবারের প্রধান।
বাবারাও কিন্তু সন্তানদের মাথার উপর একটা বিশাল আকাশ অকৃত্রিম ভালোবাসার জমিন।
কাঁধে ভর দিয়ে দাঁড়াবার শক্তি
মাথার ছাদ।
মা বাবা দুজনের কোনো বিকল্প নেই।
বাবা একটা সন্তানের বন্ধু, আস্থা বিশ্বাস ও ভরসা।
বাবার বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা অতো সহজ নয়।
প্রতিটা বাবা সন্তান ও পরিবারের জন্য নিঃস্বার্থ ভাবে শ্রেষ্ঠটা দিয়ে ছায়ার মতো সব দিয়ে আগলে রাখেন।
রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে একটা সুন্দর ও সুস্থ পরিবেশ ও পরিবার উপহার দিতে অক্লান্ত পরিশ্রম করে যান।
কখনো নিজের চাহিদা মেটাতে নিজের টার কথা ভাবেন না ।
বাবা আসলে একটা বিশাল অবদানের ইতিহাস, উপন্যাস ও গল্প।
মা বাবা সব সময় মনে করেন আমাদের সন্তান রা থাকুক দুধে ভাতে ।

আমরা আমাদের বাবা মাকে কতটুকু দিতে পারছি, কী দিয়েছি বর্তমান সময়ে।
আমরা সময়ের দোহাই দিয়ে আধুনিক হয়েছি। এসবের অজুহাতে মা বাবাকে দূরে সরিয়ে দেই বা রাখি। কই তখন তো এমনটি দেখা যেতো না যৌথ পরিবারে বড় হওয়া পরিবারের সবাই একে অপরকে সুখ দুঃখ ভাগ করে নিতো।
একটা জিনিস সবাই মিলে ভাগাভাগি করে নেওয়া খাওয়া এসব তো হারিয়ে গেছে।
একরুমে একই বিছানায় ভাই-বোন থাকা ছিলো কত আনন্দের গল্প করা
আর এখন সন্তান একটু বড় হয়ে গেলেই তাকে আলাদা রুম করে দেই । খুব স্বাধীনতা দিয়ে রাখি। যার ফলে ওরা আলাদা থাকার খাওয়ার অভ্যাস করে ফেলে। আত্মকেন্দ্রিক হয়ে যায়। অসামাজিক হয়ে ওঠে তার জন্য আমরা অভিভাবক ও কিছু টা দায়ী বটে।
সন্তান কার সাথে মিশছে তার সহপাঠী কেমন সে কোথায় যায় এসব খবর রাখি না।
আলুভর্তা ডালের স্বাদ নিতে জানে না তারা বার্গার পিজা খাওয়ার স্বাদ নিচ্ছে প্রতিনিয়ত।।
আমার বাবা ছিলেন একজন আইনজীবী, শিক্ষা অনুরাগী সুন্দর সমাজের কান্ডারী, সৎ নিষ্ঠাবান এবং সাধারণ ভাবে জীবন যাপন করতে খুব পছন্দ করতেন।
বাবার আদর্শে চেষ্টা করি আমরা ভাই বোন রাও অনুসরণ করে চলতে । মা বাবাকে আমাদের ভালো কাজের মাঝে বাঁচিয়ে রাখতে।
বাবা দিবসের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা শ্রদ্ধা জানাই।