স্বকাল শিশুসাহিত্য সংসদের উদ্যোগে ‘স্মরণের আবরণে রমজান আলী মামুন’ শীর্ষক স্মরণানুষ্ঠানে বক্তারা বলেছেন, রমজান আলী মামুনের কবিতার আবেদন চিরকালীন। তাঁর দেশ, প্রকৃতি ও স্বাধীনতা বিষয়ক লেখাগুলো অনবদ্য। রমজান আলী মামুন বিরল সৃজন-কারুকারদের একজন।
কবি ও শিশুসাহিত্যিক রমজান আলী মামুনের প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে গত ২৪ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম একাডেমির ফয়েজনুরনাহার মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত স্মরণ সভায় সভাপতিত্ব করেন কবি ও শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ। অনুষ্ঠানে ‘সংবেদনশীল কবি রমজান আলী মামুন’ শীর্ষক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন কবি আজিজ রাহমান।
স্বকাল-এর পরিচালক অরুণ শীলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন গল্পকার সাংবাদিক বিপুল বড়ুয়া, শিশুসাহিত্যিক উৎপলকান্তি বড়ুয়া, গল্পকার শিশুসাহিত্যিক মিলন বনিক, অধ্যাপক বশির উদ্দিন কনক, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক বাসুদেব খাস্তগীর, প্রাবন্ধিক অধ্যাপক কাঞ্চনা চক্রবর্তী, কবি অধ্যাপক গোফরান উদ্দীন টিটু, কবি প্রাবন্ধিক সাঈদুল আরেফীন, কবি লিটন কুমার চৌধুরী, লেখক এস এম আবদুল আজিজ, লেখক এস এম মোখলেসুর রহমান, কবি সঞ্চয় কুমার দাশ, কবি গীতিকার জসিম উদ্দিন খান, শিশুসাহিত্যিক ইসমাইল জসীম, সংস্কৃতিকর্মী লাভলু চক্রবর্তী, শিশুসাহিত্যিক মিজানুর রহমান শামীম প্রমুখ। এছাড়া রমজান আলী মামুনকে নিবেদিত লেখা পাঠ করেন কবি নাসিমা হক মুক্তা, শেলীনা আকতার খানম, সজল দাশ, রাসু বড়ুয়া, নুরনাহার নীপা, হোসাইন মোস্তফা প্রমুখ। পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য রাখেন আলী রাজ।
‘সংবেদনশীল কবি রমজান আলী মামুন’ প্রবন্ধে আজিজ রাহমান বলেন, একজন সংবেদনশীল কবি হিসেবে রমজান আলী মামুন পাঠকের মনোযোগ আকর্ষণে সক্ষম হন। তিনি কবিতায় কোমল এক অনুভূতি ছড়িয়ে দিয়ে ব্যঞ্জনা সৃষ্টিতে নিষ্ঠার পরিচয় দেন। বিষয় ও ভাবনায় তাঁর কবিতাগুলো মানবিক এক হাহাকারে ছুঁয়ে থাকে। এমনকি একজন কিশোরের সংবেদনশীল ভাবনাও ধারণ করেন তিনি তাঁর কবিতায়।
স্মরণানুষ্ঠানে রমজান আলী মামুনের স্মৃতি ধরে রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়।