রুনা তাসমিনার সঙ্গে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার দরকার নেই। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অত্যন্ত সরব ও সক্রিয় মুখ। তথ্যপ্রযুক্তিকে কীভাবে সুন্দর ও সুচারুরূপে ইতিবাচক দৃষ্টিকোণে ব্যবহার করা যায়, তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত রুনা। ফেসবুকে তার প্রশংসাসূচক সমস্ত পোস্ট বিষেয়ে আমার বন্ধুরা সহজেই অবগত। চট্টগ্রাম একাডেমি, শৈলী ও বাংলাদেশ শিশুসাহিত্য একাডেমির কর্মকাণ্ডগুলো নতুন করে প্রাণ পায় রুনার হাতে।
রুনা তাসমিনা সাহিত্যাঙ্গনে এক পরিচিত নাম। নানামুখী রচনায় রয়েছে তার সমান আগ্রহ ও কৌতূহল। কখনো ছড়া, কখনো কবিতা, কখনো ফিচার, কখনো প্রবন্ধ-নিবন্ধ লিখলেও গল্প লেখায় সে বেশ স্বতঃস্ফূর্ত। ছোটো এবং বড় উভয়ের জন্য লেখালেখি করে সনিষ্ঠ আন্তরিকতায়। দেশের বিভিন্ন পত্রিকায় তার লেখা গল্প অত্যন্ত মর্যাদার সঙ্গে প্রকাশিত হয়। অল্প সময়ের ব্যবধানে সে অর্জন করেছে পাঠকের সমীহ ও ভালোবাসা।
২০২২ সালে তার দুটি বই প্রকাশিত হয়েছে। একটি ‘গাছপাখি রোদের হাসি’, অন্যটি ‘নাম ছিল তার শেখ রাসেল’। শিশুকিশোরদের আকর্ষণ করার যথেষ্ট দিক আছে গল্পগুলোতে। তার গল্প বলার ভঙ্গিও চমৎকার। ভাষা সহজ। বাক্যগুলোও জটিল নয়।
রুনা এখন সম্পাদনা কাজে ব্যস্ত। ‘অনন্য ধারা’ নামে একটি পত্রিকা করছে। নিয়মিতই বের হচ্ছে। একটার পর একটা। প্রচ্ছদে এসেছেন স্বনামধন্যরা। ড. আনোয়ারা আলম, ড. মাহবুবল হকের পর অধ্যাপক এলিজাবেথ আরিফা মুবাশশিরা। এভাবেই এগিয়ে চলছে কাজ।
রুনা তাসমিনার জন্ম ৩১ ডিসেম্বর, চট্টগ্রাম জেলার ফটিকছড়ি পৌরসভার দৌলতপুর গ্রামে।