বাংলা একাডেমিসহ নানা পুরস্কারে পুরস্কৃত রাশেদ রউফ একজন কর্মী-মানুষ। ছড়া রাশেদ রউফের প্রাণের স্পন্দন। বক্তা হিসেবে চৌকষ। সংগঠক যদি বলি, বলতে হয় কৃতী ও কীর্তিমান।
রাশেদ রউফ, যতোটুকু জানি শত্রু তৈরি করে না। মুখ সদাসর্বদা হাসি রেখাময়।
শুভেচ্ছা, অনুজপ্রতিম সাহিত্যপ্রাণ শিশুসাহিত্যিক ও সাংবাদিক রাশেদ রউফ।
দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার শিশু-কিশোর পাতা ‘কলরোল’ সম্পাদনা কালে, আজ থেকে প্রায় ৩২-৩৩ বছর আগে, চট্টগ্রামে শিশু-সাহিত্যমগ্ন বেড়ে উঠতে থাকা লেখকবৃন্দকে যথাসম্ভব এ পাতার সাথে যুক্ত করে রেখেছিলাম। অনুজপ্রতিম রাশেদ রউফ সে সময়েই তার দক্ষতার সাক্ষর রাখতে শুরু করেছিলো।
একই সাথে সেদিন একঝাঁক প্রতিভাধর ও ভবিষ্যতের দক্ষ কাণ্ডারীরূপী সাহিত্যপ্রাণ শিশু-সাহিত্যিকের নীরব আবির্ভাব ঘটতে থাকে। সেকালের দৈনিক পূর্বকোণ পত্রিকার সাপ্তাহিক আয়োজন ‘কলরোল’ শিশু-কিশোর সাহিত্য পাতায় যারা লিখে, পাতাটকে সমৃদ্ধ করে, চলমান রেখেছিলো আজ আমি তাদেরকে আন্তরিক ভাবেই সাধুবাদ জানাই।
সে কালটি ছিলো, আসলেই চট্টগ্রামের আজকের খ্যাতিমান শিশু-সাহিত্যিকদের বেড়ে ওঠার সময়। সেদিনের ‘কলরোলে’র পাতায় পাতায় আজ কেউ তার অনুসন্ধিৎসু চোখ রাখতে সক্ষম হলে, সে আমার এই উপলব্ধির বাস্তবতার স্বাক্ষর পেয়ে যাবে। আমি তাদের পরিচর্যা দিয়েও সেই দিনগুলোতে মধুর আনন্দ পেয়েছি। সবার লেখার সম্মানী নিশ্চিত করেছি। আমি যতোদিন ‘কলরোল’ শিশুসাহিত্য পাতার সম্পাদকের দায়িত্বে ছিলাম এর কোনো ব্যত্যয় হয় নি।
ভাবি, কেউ দৈনিক পূর্বকোণের শিশুসাহিত্যের পাতাটা নিয়ে বেশ কিছুটা সময় দিতে পারলে চট্টগ্রামে শিশুসাহিত্য চর্চার একটি রস-স্নিগ্ধ মনোরম বই রচিত হতে পারে। এভাবে, এখানকার শিশুসাহিত্য চর্চার, সেকালের বিস্মৃত হয়ে যেতে থাকা ইতিহাস সন্ধানী পাঠকের হাতে তুলে দেওয়া যায়।
ভাবছি, ‘কলরোল’ সম্পাদনার মালমশলা দিয়ে একটি স্মৃতিকথা লেখার নিবেদিত হওয়ার সময় এখনই।