ঈদ মানে আনন্দ, খুশি। সকালে ভেসে আসা আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহু আল্লাহ হামদের সুর। বুকে চিন চিন ব্যথা। রাত যেন ফুরোই না। সকাল কখন হবে? মাকে দেখতাম ভোর ৪ টা ৫ টায় উঠে গোসল সেরে নিতেন। চারপাশে নতুন সাবানের গন্ধে মাতোয়ারা। ছোলা কিংবা সেমাই রান্না হতো কোনো ঈদে। পোলাও আর মুরগীর মাংসের স্বাদের ঈদ আমার। গোসল করে জামা কোনটা পরবো? বেস্ট টায় পরে নিতাম।৷ অপেক্ষা শেষ হয়না। বাবা কখন নামাজ থেকে আসবে? আসেন না কেন? নামাজ কতক্ষণ হয়?. অস্থির আত্মা ঘুরপাক খেতে থাকে। বাবা আসে সালাম করে সালামি দিতো ১০ টাকা। পালাক্রমে বেড়ে ১০০ পর্যন্ত গেলো।এখন আর সালামি পাইনা বরং দিয়ে আসি। সে সময়কার ঈদের যে কী স্বাদ। আমি আমার মেয়েদের মাঝে খুঁজে বেড়ায়। না তাদের ইদ তাদের মত। কী জানি তাদের অনুভূতির খবর আমি টের পাই না। স্মৃতি অমলিন। ছেলেবেলার ইদকে হৃদয়ে ধারণ করেই এখনো অনুভূতি জাগ্রত রাখি। এইবার ইদের আনন্দ আমার দ্বিগুণ হয়ে ধরা দিবে। অনেক গুলো কারণ। সব নাই বা বলা হলো। কিন্তু হৃদকম্পন হচ্ছে এখন থেকেই। অনুভূতির কাছাকাছি থাকা কেউ হয়তো বুঝে নিবে এ হৃৎস্পন্দন। কল্পনার ঈদ আজ থেকেই মধুর হতে শুরু করেছে। প্রতি মূহূর্তের আনন্দ উপভোগ করা আমি আজ থেকেই ইদের আমেজে ভাসছি। পরের খবর পরে দেখা যাবে। সময়ের কাছে পরের খবর জমা থাক। আমি বর্তমানেই থাকি।
শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে আমার অনুভূতির সমান অনুভূতি সৃষ্টি হোক। তাঁরাও ঈদ আনন্দে ভাসুক। খুশিতে মাতোয়ারা হোক।
সকলকে ঈদ মুবারক।