চলতি বছরে বিশ্বব্যাপী ‘রোবোটিকস সিস্টেম’ ও ড্রোন খাতে খরচ হবে ১২ হাজার ৮৭০ কোটি ডলার। ২০১৯ সালের তুলনায় এ খাতে খরচ বেড়েছে ১৭.১ শতাংশ। ইন্টারন্যাশনাল ডেটা কর্পোরেশনের (আইডিসি) এক প্রতিবেদনে উঠে এসেছে এ তথ্য।
আইডিসি বলছে, ২০২৩ সাল নাগাদ এ খাতের খরচ বেড়ে গিয়ে দাঁড়াবে ২৪ হাজার ১৪০ কোটিতে। ২০২০ সালে শুধু রোবোটিকস খাতেই খরচ হবে আনুমানিক ১১ হাজার ২৪০ কোটি ডলার। আর ড্রোন খাতের খরচ গিয়ে ঠেকবে আনুমানিক এক হাজার ৬৩০ কোটি ডলারে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম আইএএনএস’র বরাতে খবর বিডিনিউজের।
এ প্রসঙ্গে আইডিসি’র ওয়ার্ল্ডওয়াইড রোবোটিকস: কমার্শিয়াল সার্ভিস রোবটস-এর পরিচালক রেমি গ্লেইসনার বলেছেন, “রোবোটিকস শিল্প কাঠামোতে যে কয়টি জিনিস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছে, তার একটি হচ্ছে সফটওয়্যার উন্নয়ন। রেবোটিকস সিস্টেমে প্রায়ই সফটওয়্যারভিত্তিক ও ক্লাউডভিত্তিক বৈশিষ্ট্য জুড়ে দিচ্ছেন সমাধান দাতারা।”
চলতি বছরে রোবোটিকস খাতের মোট খরচের প্রায় অর্ধেকই হবে স্বতন্ত্র উৎপাদনকারীদের বদৌলতে। ধারণা করা হচ্ছে, মোট পাঁচ হাজার ৩৮০ কোটি ডলার খরচ করবেন স্বতন্ত্র নির্মাতারা। এ ছাড়াও প্রক্রিয়া উৎপাদন, সম্পদ শিল্প, স্বাস্থ্য এবং খুচরা বিক্রি এ খাতের খরচে ভূমিকা রাখবে।
ড্রোন খাতে এ বছরের মূল খরচের ৯০ শতাংশই হবে হার্ডওয়্যার কেনা বাবদ। এতে ভূমিকা রাখবে গ্রাহক ড্রোন, বাজার-পরবর্তী সেন্সরস এবং সেবা ড্রোনের মতো বিষয়গুলো। ধারণা করা হচ্ছে, চলতি বছরে ড্রোন বাবদ ৬৫০ কোটি ডলার খরচ করবেন গ্রাহকরা। ড্রোন খাতের মোট খরচের ৪০ শতাংশই হবে গ্রাহকদের কারণে।