ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার করোনাভাইরাসের টিকা আমদানি ও জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আইয়ুব হোসেন সোমবার রাতে এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “আমরা এই টিকা আমদানির জন্য একটা এনওসি দিয়েছি। এখন বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের তৈরি টিকা আমদানি করতে পারবে। এখন এই টিকা আমদানিতে আর কোনো বাধা নাই।”
এই প্রথম করোনাভাইরাসের কোনো টিকা বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেল। সেরাম ইনস্টিটিউটে উৎপাদিত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রেজেনেকার টিকার তিন কোটি ডোজ কিনতে দুই মাস আগেই চুক্তি করেছিল বাংলাদেশ।
জরুরি ব্যবহারের জন্য এই টিকা আমদানির অনুমোদন চাওয়া হয়েছিল জানিয়ে আইয়ুব হোসেন বলেন, “‘নো অবজেকশনে’র মাধ্যমে অনুমোদন দেওয়া হয়েছে এ কারণে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রয়োজন নেই।
“এই টিকা এখন আমাদের দেশের মানুষের দরকার। এই টিকা এখন যুক্তরাজ্য ও ভারতে অনুমোদন পেয়েছে, সেসব জায়গায় ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হয়েছে, বিভিন্ন ধরনের স্টাডি আছে। এছাড়া আমাদের এক্সপার্ট কমিটির দেওয়া সিদ্ধান্ত বিচার বিশ্লেষণ করেই অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।”
টিকা আমদানির অনুমতির জন্য প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র গত বৃহস্পতিবার ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরে জমা দিয়েছিল বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালস। এরপর সোমবার আনুষ্ঠানিকভাবে অনুমোদন চাওয়া হয়।
বেক্সিমকো ফার্মাসিউটিক্যালসের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাজমুল হাসান সোমবার বিকালে এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, চুক্তি অনুযায়ী বাংলাদেশে অনুমোদন পাওয়ার এক মাসের মধ্যে সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার প্রথম চালান পাঠানোর কথা রয়েছে।