[রাশেদ রউফ সমকালীন সাহিত্যে এক পরিচিত নাম। বিশেষত শিশুসাহিত্যে তিনি অর্জন করেছেন ঈর্ষণীয় সাফল্য। এ পর্যন্ত প্রকাশিত হয়েছে ৭০টিরও অধিক বই। দৈনিক আজাদীতে সহযোগী সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। চট্টগ্রাম একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা সংগঠক রাশেদ রউফ প্রথম জাতীয় ছড়া উৎসব, প্রথম কিশোরকবিতা সম্মেলন, প্রথম স্বাধীনতার বইমেলা, প্রথম অনলাইন বইমেলার প্রধান উদ্যোক্তা তিনি। সাময়িকী ‘সাক্ষাৎকার’-এর এ সংখ্যায় আমি মুখোমুখি হলাম তাঁর– জাহাঙ্গীর মিঞা]

জাহাঙ্গীর মিঞা : আপনার ব্যক্তিজীবন ও সাহিত্যজীবন সম্পর্কে বলুন।
রাশেদ রউফ : আমার ব্যক্তিগত জীবন আর সাহিত্য জীবন প্রায় অভিন্ন। নানা সময়ে আমি বলেছি, ঘুমানোর সময়টা বাদ দিলে বলা যায় দিনের প্রায় পুরোটা সময় আমার চলে পড়ালেখা ও লেখালেখিতে। আমার সাংবাদিকতা, আমার সাংগঠনিক কর্মকাণ্ড ও সাহিত্যআড্ডা- সবই এই লেখালেখির সঙ্গে সম্পর্কিত।
জাহাঙ্গীর মিঞা : আপনি সাহিত্যের নানা শাখায় কাজ করছেন। তবে কোন্ মাধ্যমে আপনি বেশি স্বচ্ছন্দ?
রাশেদ রউফ : ছড়া-কিশোরকবিতার বাইরে কিশোর গল্প, উপন্যাস, প্রবন্ধ লেখার চেষ্টা করেছি, লিখেছি বড়দের কবিতাও, শিশুসাহিত্যের ওপর গবেষণা করেছি। জীবনী নিয়েও কাজ করেছি। নীরবে-নিভৃতে চট্টগ্রামে থেকে নিরন্তর সাহিত্যচর্চা করে আসছি। সাহিত্যের নানা শাখায় কাজ করলেও কিশোরকবিতায় আমার মনোযোগ একটু বেশি। কিশোরকবিতা রচনা করে, কিশোরকবিতা সংকলন সম্পাদনা করে এবং কিশোরকবিতার সম্মেলন বা পাঠচক্রের আয়োজন করে আমরা একটা আন্দোলন পরিচালনা করেছি এবং করছি। আমার বন্ধুদের নিয়ে এই শাখায় আরো অনেক কাজ করার ইচ্ছে রয়েছে আমার।
জাহাঙ্গীর মিঞা : আপনি একজন মেধাবী লেখক। একজন সিনিয়র সাংবাদিক। একজন দক্ষ সংগঠক। কিশোরকবিতায় এলেন কীভাবে?
রাশেদ রউফ : আমি একজন কর্মীমাত্র। একজন সাহিত্যকর্মী, একজন সংস্কৃতিকর্মী, একজন সংবাদকর্মী। আরো সীমিত করে বললে বলা যায়, আমি কিশোরকবিতার একজন কর্মী। রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, যতীন্দ্রমোহন বাগচী, জসীমউদদীন প্রমুখের কবিতা পড়তে পড়তে নিজের ভিতর কিশোরকবিতার আবেশ কখন তৈরি হয়, নিজেই যেন জানি না।
বাংলা সাহিত্যের অন্যান্য শাখার মতো নির্মল রসপুষ্ট কিশোরকবিতার উৎসমুখ রবীন্দ্রনাথ। তাঁর ‘বীর পুরুষ’, ‘আমাদের ছোট নদী’, ‘তালগাছ’, যতীন্দ্র মোহন বাগচীর ‘কাজলা দিদি’, বুদ্ধদেব বসুর ‘নদী-স্বপ্ন’ এবং নরেশ গুহর ‘রুমির ইচ্ছে’সহ ছোটদের অনেকগুলো কবিতা আমাদের ভালো লাগার উঠোন জুড়ে আছে। পরবর্তী সময়ে সুজন বড়ুয়া, আখতার হুসেন প্রমুখের কবিতা আমাকে ভীষণভাবে আলোড়িত করেছে। লেখালেখির শুরুতে সাহিত্যের অন্য মাধ্যমে বিচরণ করলেও এখন আমার লেখালেখির প্রধান চর্চিত মাধ্যম কিশোরকবিতা। আমি নিজে চর্চা করি। আর অন্য যারা চর্চা করে, তাদের খুব ভালোবাসি।
জাহাঙ্গীর মিঞা : আপনাকে অনেকে চেনে অন্ত্যমিলের কবি রাশেদ রউফ হিসেবে। এ পরিচিতিতে আপনার অনুভূতি কী?
রাশেদ রউফ : ১৯৯৫ বছর থেকে ২০২১ টানা পঁচিশ বছরে প্রচুর ‘অন্ত্যমিল’ প্রকাশিত হয়েছে আজাদীতে। এখনো এই ছড়াকলাম চালু আছে। ২০১৫ সালে এখান থেকে বাছাই করা কিছু লেখা নিয়ে একটা গ্রন্থ প্রকাশের তাগাদা দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক, কীর্তিমান কবি, প্রাবন্ধিক ও কথাসাহিত্যিক ড. ময়ুখ চৌধুরী। বস্তুত ২০১৬ সালে আদিগন্ত প্রকাশন থেকে আমার প্রকাশিত ‘অন্ত্যমিলসমগ্র:১’ তাঁরই উৎসাহের ফসল।
এই ছড়াকলামে সাম্প্রতিক বিষয়, মানে একেবারে তরতাজা ঘটনার চিত্রায়ন ঘটে। আজ যা ঘটেছে, তার ওপরই লেখা হয়ে থাকে এই ‘সমকালীন ছড়া’। বক্তব্যের তাৎক্ষণিকতা অনেক সময় লেখার শিল্পগুণকে নষ্ট করে ফেলে। সাম্প্রতিক ঘটনার ওপর নির্মিত বলে ছড়াগুলোর স্থায়িত্ব সম্বন্ধেও সন্দেহ জাগতে পারে। অস্বীকার করার উপায় নেই যে, কালের চাকা ঘোরার সাথে সাথে এসব ছড়ার অধিকাংশই স্থান পাবে ডাস্টবিনে। তবে আমি মনে করি, সাময়িকতার আমেজ কেটে গেলেও ঘটনার পরম্পরা কালের ইতিহাস হিসেবে নির্ণিত হবে। মনে রাখতে হবে ‘সাময়িকতার দিকে ছড়ার স্বাভাবিক উন্মুখতা দুর্নিবার’। চলমান ঘটনার ওপর নির্মিত ছড়া বা কবিতাকে বুদ্ধদেব বসু ‘পদ্য-সাংবাদিকতা’ হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। তবে তাকে তিনি সাহিত্যের মর্যাদায় অভিষিক্ত করতে চেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘কেউ যদি একে কবিতা বলতে না চান, না-ই বললেন, না হয় এ পদ্য-সাংবাদিকতাই হলো, কিন্তু সাংবাদিকতা-শুধু পদ্যে নয়, গদ্যেও কখনো কখনো সাহিত্যের এবং স্থায়ী সাহিত্যের আসন পেয়েছে, ইতিহাসে এর দৃষ্টান্ত অত্যন্ত বিরল নয়। মূল্যটা যেখানে মতের- সেখানেই অচিরতার আশঙ্কা, কিন্তু মূল্যটা যেখানে রূপের – সেখানে অনেকটা নির্ভর হওয়া যায়। কোনো সাংবাদিক-রচনা সাহিত্যের স্তরে পৌঁছালো কিনা, সেটা যাচাই করার একটা উপায় হলো নিজেকে এই কথা জিজ্ঞাসা করা যে লেখাটা আমার যে ভালো লাগলো, তা তথ্যের জন্য, না মতের জন্য, না রূপের জন্য। মনে মনে যদি এ কথা বলি যে লেখাটা যেমনই হোক, যেটা বলতে চাচ্ছে, সেটা খুব ভালো কথা, তাহলে তাকে আর যা-ই বলি সাহিত্য বলা চলে না। আর যদি মনে হয় যে, লেখক ভুল বলছেন, তাঁর কথা মানি না, কিন্তু লেখাটা ভালো লাগলো, তাহলেই বুঝতে হবে যে সাহিত্যের শক্তি তার মধ্যে কাজ করছে। আর যদি উভয়কে পাওয়া যায় একই সঙ্গে, তাহলে তো কথাই নেই’।
আমি জানি না, আমার লেখাগুলি সময়ের বিবেচনায় কতোটা উত্তীর্ণ হতে পেরেছে। সময়ের সাথে সাথে লেখাগুলিও যে হারিয়ে যেতে পারে-নষ্ট হয়ে যেতে পারে তার আবেদন- সেই শংকা ছিলো শুরু থেকেই। তাই লেখা লিখেই দায়িত্ব শেষ করেছিলাম। খুব একটা গুরুত্ব দেওয়া হয় নি বলে পত্রিকার কাটিংও সংগ্রহে রাখি নি প্রথম প্রথম। মনে করেছিলাম সংবাদের মতোই আজ যা সঙ, তা কাল বাদ বা বাতিল বিবরণী হয়ে যাবে। কিন্তু দিন যতই যায়, আমার ছড়া-কলামের পাঠক বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে এর গুরুত্ব। কেননা, আমি আমার ছড়াগুলিতে মত আর রূপের সমন্বয় ঘটাতে চেষ্টা করেছি। মেদহীন অঙ্গের মাধ্যমে এবং উগ্রতাহীন ব্যঙ্গের মাধ্যমে আমি ডিঙোতে চেয়েছি সাময়িকতার সংকীর্ণতা। পাঠকের মন জয় করাই শুধু আমার লক্ষ্য নয়, সাহিত্যসেবাও আমার ব্রত। অন্ত্যমিলের কবি হিসেবে সবাই আমাকে চেনে। কোথাও গেলে আমার নাম উচ্চারণের সঙ্গে সঙ্গে অন্ত্যমিলের রাশেদ রউফ হিসেবে আলাদা মর্যাদা পাই। এই অন্ত্যমিল আমাকে পাঠকপ্রিয়তা দিয়েছে। তাই তাকে বুকে করে রাখি। এ সংক্রান্ত ঘটনাও আছে। এখানে তা উল্লেখ নাইবা করলাম।
জাহাঙ্গীর মিঞা : আপনার লেখালেখিতে মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধু কীভাবে উঠে এসেছে?
রাশেদ রউফ : আমি ছাত্রাবস্থা থেকে অসাম্প্রদায়িক চেতনা নিয়ে কাজ করছি। দীর্ঘদিন ধরে বঙ্গবন্ধুর দর্শন নিয়ে পড়াশোনা করছি। লেখালেখি ও নানা সাংগঠনিক কাজও করছি সনিষ্ঠ আন্তরিকতায়। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে যে ক’জন সাহসী মানুষ প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বঙ্গবন্ধুকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে গিয়েছিলেন, তাঁদের পথ অনুসরণ করার নির্ভীক প্রচেষ্টা ছিলো আমার মধ্যে। চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বের হওয়ার আগেই আমি সম্পাদনা করেছিলাম ‘রাজাকারের বিরুদ্ধে ছড়া’ সংকলন। বাংলাদেশের অন্য শিল্পী-সাহিত্যিকদের মতো আমরাও সময়ের দাবি মেটাতে চেষ্টা করেছি। সেই ধারাবাহিকতায় প্রকাশ করেছিলাম সাম্প্রদায়িকতা বিরোধী এই সংকলনটি। এই সংকলনে যাঁদের লেখা স্থান পায়, তাঁরা হলেন : সৈয়দ শামসুল হক, সরদার জয়েনউদ্দীন, রফিকুন নবী, লুৎফর রহমান রিটন, অজয় দাশগুপ্ত, আমীরুল ইসলাম, ওমর কায়সার, বিশ্বজিৎ চৌধুরী, রহীম শাহ, সুব্রত চৌধুরী, খালেদ সরফুদ্দীন, ইকবাল বাবুল, শিমুল মাহমুদ, আজিজ রাহমান, কুমার প্রীতিশ বল, আবুল কালাম বেলাল, রহমান হাবীব, মালেক রানা, সবুজ রায়হান, মনটি রহমান, খায়রুল ইসলাম তালুকদার, রাশেদ রউফ। প্রচ্ছদ করেছেন শিল্পী উত্তম সেন। এরপর বহু ঝড়-ঝাপটা, হুমকি ধমকির পরও আমাদের কাজের গতি ব্যাহত হয়নি। গত শতকের আশির দশকের শেষে চট্টগ্রামেই আমরা গঠন করেছিলাম ‘বঙ্গবন্ধু লেখক শিল্পী সম্মিলন পরিষদ’। এ পরিষদের উদ্যোগে আমরা একাধিক সেমিনার ও নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে তখনকার সময়ে তরুণ প্রজন্মের মাঝে বঙ্গবন্ধুর চেতনা সঞ্চারের প্রয়াস নিয়েছিলাম। আমাদের উদ্যোগে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার দাবিতে আয়োজিত এক সেমিনারে অধ্যাপক মুস্তাফা নূরউল ইসলাম বলেছিলেন, ‘বাঙালিত্বের প্রতীক বঙ্গবন্ধুর মৃত্যু নেই, তাঁর আদর্শ বাঙালির হৃদয়ে অনন্তকাল বহমান থাকবে। অন্ধকারের দানবরা মুজিবকে হত্যা করেছে ঠিকই, কিন্তু মানবমুক্তির প্রতিভূর মৃত্যু হয়নি’। ‘দাবাইয়া রাখতে পারবা না’ শিরোনাম নিয়ে কবিতা পাঠের আসরের আয়োজন করেছি অসংখ্যবার। বঙ্গবন্ধুর ওপর সম্পাদনা করেছি ‘বাঙালি’, ‘শ্রেষ্ঠ বাঙালি’, ‘দাবাইয়া রাখতে পারবা না’ ইত্যাদি সংকলন। শিশু-কিশোরদের জন্য রচনা করেছি অসংখ্য ছড়া, কবিতা, গল্প, প্রবন্ধ। প্রকাশিত হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু তুমি অজর অমর’ ও ‘তীর্থভূমি’ ও ‘দশ দিগন্তে বঙ্গবন্ধু’ নামক গ্রন্থ।
বলা যায়, ৪০ বছর ধরে আমি ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ ও বঙ্গবন্ধুকে পাঠকের কাছে, বিশেষ করে শিশু-কিশোরদের মাঝে ফেরি করে বেড়াচ্ছি।
জাহাঙ্গীর মিঞা : আপনার কিশোরকবিতায় প্রকৃতি ও দেশপ্রেম চমৎকারভাবে ফুটে উঠেছে।
রাশেদ রউফ : আমার শিশুসাহিত্যে বিশেষত কিশোরকবিতায় মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলন ও দেশপ্রেম প্রাধান্য পেয়েছে। নিসর্গ ও প্রকৃতিকেও তুলে ধরার চেষ্টা করে গেছি আমি। আসলে দেশপ্রেম না থাকলে কেউ লেখক হতে পারবে না। আর প্রকৃতি এমন এক অনুষঙ্গ, যা পুরনো হবে না, ফুরোবে না। প্রকৃতির সঙ্গে মিশে না গেলে অনুভূতি তেমন স্নিগ্ধ হবে না। সাহিত্যের নানা রচনার দিকে তাকালে আমরা দেখবো-সব লেখকই প্রকৃতির বন্দনা করেছেন। এক অর্থে সকল কবিই প্রকৃতির কবি।
জাহাঙ্গীর মিঞা : আপনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার ছাড়াও অনেকগুলো পুরস্কার পেয়েছেন। সম্প্রতি পেলেন পদ্মবীণা পদক। এক জীবনে এত অর্জন এর জন্য কি আপনার গর্ব হয়?
রাশেদ রউফ : কাজের মূল্যায়ন হওয়ায় আমি খুশি। এই জীবনে অনেক পুরস্কার আমি পেয়েছি। তবে সবচেয়ে বড়ো পুরস্কার হলো মানুষের ভালোবাসা। এ পর্যন্ত অনেক লেখক আমাকে বই উৎসর্গ করেছেন, সেটাও আমি মনে করি-আমার বড় প্রাপ্তি। বাংলাদেশের বহু লেখকের সৃষ্টিকর্ম নিয়ে আমি প্রবন্ধ লিখেছি, চেষ্টা করেছি তাদের সৃজনকর্মের মূল্যায়ন করতে। আমার লেখায় অগ্রজ লেখকদের যেমন এনেছি, তেমনি এনেছি আমার সমসাময়িক লেখক বন্ধুদের। সমকালীন শিশুসাহিত্যিকদের নিয়ে বাংলাদেশে আর কেউ এ কাজটি করেছে বলে আমার মনে পড়ে না। আমি সবার শুভ কামনা প্রত্যাশা করছি, যেন আগামীতে শিশুকিশোরদের জন্য আরও বেশি করে কাজ করতে পারি।
যদিও জানি, পুরস্কারের জন্য কেউ লেখালেখি করে না, পুরস্কার পেয়ে গেলে উৎসাহিত হন সবাই। আমিও ঠিক তেমন। লেখালেখিটাই মুখ্য। তবে বাংলা একাডেমিসহ সকল পুরস্কার আমাকে আনন্দ দিয়েছে, আমাকে আন্দোলিত করেছে। আমি মনে করি যারা নিরবচ্ছিন্ন শিশুসাহিত্য চর্চা করছে এ ধরনের পুরস্কার তাঁদেরও উৎসাহিত করবে। আমি বিশ্বাস করি, যশ-খ্যাতি-মোহ’র দিকে না তাকিয়ে নিষ্ঠার সাথে কাজের সাথে লেগে থাকলে সাফল্য একদিন আসবেই।