বান্দরবানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরে পাইপ ক্রয়ের নামে দুই কোটি টাকা অপচয়ের অভিযোগ উঠেছে। দুটি টেন্ডারে ক্রয় করা বিভিন্ন সাইজের নিম্নমানের পাইপগুলো কোথাও ব্যবহার করা হচ্ছেনা। দীর্ঘ দু’বছর ধরে পাইপগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে আছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের কার্যালয়গুলোতে।
প্রকৌশল বিভাগ ও স্থানীয়রা জানায়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর বিশেষ বরাদ্দের আওতায় ২০১৮ সালে দুটি টেন্ডারে ২ কোটি টাকার পাইপ ক্রয়ের টেন্ডার দেয়া হয়। প্রকৌশল অফিস এবং ঠিকাদার যোগসাজসে দেড় ইঞ্চি, দুই ইঞ্চি এবং তিন ইঞ্চি সাইজের নিম্নমানের কোটি টাকার পাইপ ক্রয় করে প্রকল্পের পুরো অর্থই লোপাট করেছে। পাইপগুলো বর্তমানে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের বান্দরবান জেলা, লামা, আলীকদম এবং নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা অফিস প্রাঙ্গণে পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন ঠিকাদার ও জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের কর্মচারী জানান, কোনো ধরনের পরিকল্পনা ছাড়াই শুধুমাত্র সরকারী অর্থ লোপাটের জন্য পাইপ গুলো কেনা হয়েছে। পাইপ গুলো টিউবওয়েল এবং হাট-বাজার ও গ্রাম অঞ্চলে জিআই পাইপ লাইনের মাধ্যমে পানি সরবরাহ প্রকল্প কোনো কাজেই আসছেনা। সরকারের বিশেষ বরাদ্দের টাকা ফেরত যাচ্ছে বলে পাইপ ক্রয়ের নামে সরকারের দুই কোটি টাকা অপচয় করা হয়েছে। মূলত প্রকৌশল বিভাগের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা এবং ঠিকাদার যোগসাজসে লোক দেখানো নিম্নমানের কিছু পাইপ সরবরাহ করে প্রকল্পের পুরো অর্থই ভাগ-বাটোয়ারা করে নিয়েছে। জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের লামা উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার মুজিবুর রহমান বলেন, বিশেষ বরাদ্দের অর্থ ছাড় করতে পাইপগুলো ক্রয় করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন কাজে লাগানো না গেলেও পল্লী পানি সরবরাহ প্রকল্পে পাইপগুলো এখন ব্যবহার করা হচ্ছে লামা উপজেলায়। এ বিষয়ে বান্দরবান জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী সোহরাব হোসেন বলেন, বিশেষ বরাদ্দের টাকায় দূর্যোগ মোকাবেলায় দুই কোটি টাকার পাইপ কেনা হয়েছিল। প্রকল্পের বিপরীতে ঠিকাদার পুরো অর্থই উত্তোলন করেছে। প্রাকৃতিক দূর্যোগের জন্য পাইপগুলো মওজুদ করা হয়েছে লামা, আলীকদম, নাইক্ষ্যংছড়ি এবং বান্দরবান সদর প্রকৌশল অফিসে। পাইপ ক্রয়ে কোনো দুর্নীতি হয়নি।